হয় তো বা ইচ্ছে ছিলো,
ইচ্ছে-তুলির আঁচড়ে
পলাশের রঙে আঁকবো তোমার শাড়ি।
শৌখিন পটুয়ার মতো তাড়াহুড়োর নিকুচি করে
খেয়ালী, আবেশী, বিশৃঙ্খল আঁচড়ে সারাদিন সেই রঙে মাখবো
কনকচাঁপার হলদে ছোপ ...


ছবিটাতে
কৃষ্ণ প্রহরের শেষ জাড়কে বিদায় দেয়া  
খুব বুনো অভিলাষী রতির পর
তোমার লাজুক, পরিতৃপ্ত অথচ তৃষিত শরীরে
বিনা ব্লাউজে শাড়িটা শুধুই এলোমেলো করে জড়ানো ...
নিবিড় সোহাগে লুপ্ত মুখশ্রী সজ্জায় কিভাবে যেন টিকেছে
তোমার কপোলে আঁকা জরদ রঙা তিন ফোঁটার টিপ ...
খোলা জানালায় ফাগুনের প্রথম রোদে রাঙা তোমার অবয়বে
নারীত্বের বিলাসী অবসাদ,
অধরে অনিমিত্ত আনমনা হাসি,
নহলী অশ্রুতে ঝাপসা দৃষ্টি খুঁজে বেড়ায়
অবিমুক্ত শঙ্কা, দ্বিধা আর কুণ্ঠার অবসান,
বিসারী সুফলা সুখের হাতছানি ...
আর
নতুন করে সব হারিয়ে কি যেন পাওয়ার
বসন্ত বিভ্রম।


হয় তো বা ইচ্ছে ছিলো,
ইচ্ছে-তুলির অদৃশ্য আঁচড়ে সেই ছবিতে মাখবো
মাঘের শেষ নীহারে সিক্ত বেলীর সুবাস,
নয়নতারার গোলাপী অনুভবে পন্চ ইন্দ্রিয়-পাপড়ির স্পর্শ,
সবজে সাদা নাগেশ্বরের স্নিগ্ধ, কোমল, নম্র
অথচ প্রতিভাত, বর্ণিল, বিদিত প্রেমের  
মধুময় চুম্বন।


হয় তো বা ইচ্ছে ছিলো,
সেই ছবিতে ইচ্ছে-তুলির আঁচড়েই
তোমাকে প্রথমবারের মতো বলবো,


ভালোবাসি এই বসন্ত ...
ভালোবাসি রঙ,
আর ভালোবাসি এই বসন্তের মৃগনয়না,
তোমাকে।