এখন তার অনুভূতিরা আর ছবি আঁকে না ....
স্বপ্ন বুনে না, ভাবনা ভানে না,
মৃত্তিকার সুবাস মেখে হিম হিম শান্তির অনিল আবেশে
দেয় না কার্তিকের সুখ।


তিরিশ ঋতুচক্রে অবিরত প্রতারণার অসিত লেপে
তার তেজী প্রত্যয়ী মনের ধানী ক্যানভাস এখন  
ধূসর ঊষর চিড়খাওয়া জমিনের মতো
... অভব্য, অবাধ্য আর আঁকাড়া।


তারুণ্য-গর্বিত চেতনার পলল এখন
অবিনয়ী ধৃষ্টতার কর্দমে জমাট হৃত যৌবনের কাষ্ঠ ভূতল,
অফলা পরতের শষ্পহীন স্হল,
অনাবৃত খেদের দগ্ধ ভূমি,
চাঁই বর্ণের অপলাপে অভিশপ্ত মাটি।


তিরিশ বর্ষা শরত জুড়ে
তার মনের ক্যানভাসে তোমরা মেখেছো
বিদারণের দহন ... কপট জ্ঞানের থুথু ... গরল দর্শনের ছোপ,
প্রেমের ছল-সুনীলে পিষেছো প্রতারণার ছাইরঙা শুষ্ক মেঘের প্রলেপ,
ভালোবাসার শ্রাবণ নাম দিয়ে নেমেছো অম্ল-বর্ষণ হয়ে,
আস্হার কপট শ্বেতে ভাদ্র সুধাকে নমন করেছো ...


কখনও নর-নারীবেশে, বা বন্ধু-মরীচিকা রূপে,
অথবা নেতা-প্রভু-শাসকের পেষণে ...
গুরুদক্ষিণার আবেগ সেঁচে, পণ্ডিতের বিদ্যাচক্র বিশোধনে ...
কর্তা-মনিবের বেলচা দিয়ে খুবলে খাবলে
তার উর্বর সুফলা অনঘ শুচির মন-মৃত্তিকাকে তোমরা
রূক্ষ, শুষ্ক পোড়া হৃদয়ের জমিন করেছো ...


সেই জমিনে এখন চাষ করো না তোমরা কেউ ...
সেখানে নিত্য ফেলো সামাজিক গর্দা,  
নাগরিক কল্মষের ঝাঁপি, অর্থনীতির জন্জাল,
রাজনীতির বর্জিতাংশ, অবৈধ প্রেমরতির অপবাদ ...


সেখানে খনন করো বাতিল প্রজন্মের পয়নালা ...
কূট তদন্তের তল্লাশী গর্ত ...
প্রাণনাশকারী ভাইরাসের কবর।


তোমাদের চাষ এখন ষোলো বা আঠারো কার্তিকের নব্য জমিনে,
তাদের নহলী শুভ্র ক্যানভাসে,
সোনারঙা রোদের আলোয় ... নূতন বছরের ঋতুচক্রে।


তোমাদের চাষ এখন
অন্য কারও নিষ্পাপ অনুভূতির
কার্তিক সুখ হননে  ...