অভাব এসেছিল একবার ঘরে দুয়োরে
তিল ঠাঁই ফাঁকা নাই ছোট্ট এই কুটিরে
জীর্ণ বেড়া ভেদিয়ে টিনের চাল ছেদিয়ে
বুলেটের গুলি যেন বুকে গেল বিধিঁয়ে।
যেদিকে চোখ যায় দেখি শুধু হাহাকার
নেই টাকা হাত ফাঁকা মোটে নেই রোজগার!
জল ছাড়া নেই ঘরে একমুঠো চাল
ঋণ করে চলবো আর কতকাল ।
পাশে বসে প্রিয়জন ঝড়ে আঁখিজল
আমার চোখেও সেই একে সম্বল
কাম নেই করি কী কোথা গেলে পাই
লেখালেখিতে পেট ভরে নাতো ভাই ।
অভাবের কালো জলে হাবুডুবু খাই
অন্নদানা বলে ঘরে কিছু নাই
কত দিন রং চা চড়েনা তো মুখে
কেঁদে কেঁদে বলে প্রিয়া, মরে সেই দুখে!
হাত পা সবে ঠিক পঙ্গুতো নই
কোন না কোন কাজ পাবো নিশ্চই
সান্ত্বনা দেই তারে শিরে দিয়ে হাত
একদিন খাবে তুমি দুধ কলা ভাত ।
এই ব্যাধি গুরুতর খেয়ে ফেলে হাড়
টাকা কড়ি হলো এর বড় ডাক্তার
অভাব কারে বলে নিজে দেখেছি
মরণদোর থেকে ফিরে এসেছি ।