শুনেছিলাম কন্য সন্তান সৌভাগ্য,
তবে তার জন্মের সময়,
সবার হাসি  অস্ফূট ঝলসে গেলো,
ফূটলো না ফুলের মতো,
পূর্ণিমার ধবল রাতে চন্দ্রগ্রহণ,
কুহাশা হোয় নেমে এলো-
কচি ছোট্ট আলুর মতো আঁঙুল গুলো,
শিশিরে ভেজা গোলাপের দুই দলের ঠোঁট,
চোখের কালো পহ্ম ওঠাতে,
বেরিয়ে আসছিলো আশা ভালোবাশার স্নিগ্ধ জ্যোতি,
সারা নেবা প্রদীপ জ্বলে উঠলো,
তার প্রতিটি নবকৃতি খুলতে লাগলো,
স্বর্গের সাতটি দরজা এক-এক করে,
প্রথম বার দর্জীর দোকানে,
তার প্রস্তুত পরিধানে মনে হোলো,
সে এখন শাবিকা থেকে একটু বড়,
দ্বিতীয় বার,যখন এলো না কোন ডাক কুমারী ভোজের,
আর মুদিখানায় কালো পলিথিনে জড়িয়ে দিয়েছিল এক শৈশব,
মুক্ত আকাশে উড়ার ডানা বাঁধার চেষ্টা,
ক্যালিডোস্কোপে চিএাবলী রঙ দেখিয়ে ডাকলো,
গার্গী,লোপামুদ্রা,য়ামী বা ম্যাডাম ক্য়ূরী' হোয়ে,
এক দিন-
সব কল্পনা-জল্পনা উধাও হোলো,
যখন এক কুলী কে নির্দোষ বকতে দেখে, কটমটিয়ে তাকিয়েছিল-
আর আঁতা গাছের পাপিয়াটা ভয় পেয়ে  উড়ে গেলো,
সেই দিন জন্ম নিলো এক শুভ্র সন্তান,
সৌভাগ্য ছোটই হয়,
হ্রদয়ের বিস্তারে,উদয় -অস্ত
আর তখন শুধু তখণই,
জন্ম হয় এক শিশু-কন্যার ৷