আমি এক বিষ্ময়ের মাঝে আছি
এই তো সেদিন যে ছেলেটিকে
দেখেছি রাস্তার পাশে
ফুটপথে বসে
কম দামি সিগারেটের
ধোয়ার কুন্ডলী ফুকছে।
যে ছেলেটিকে দেখেছি
ময়লা মলিন বস্ত্রে বোকাটেদের আড্ডায়
আজ তাকে দেখে আমার এত বিষ্ময়!


ভাবতে পারিনা আমি-
যেখানে আমি সুন্দর সু-পুরুষ
যোগ্যতা আছে সুন্দরী নারীর
পাশে বসে গল্প করার,
অথচ একটিও নারী নেই আমার!
সেখানে সেদিনের সেই ছেলেটি?
আজ এক অবর্ণনীয় রুপসীর পাশে।
এত সভ্যতা জানে ঐ রুপসী
যে কি না আমার মত
সভ্যতাকে পদদলিত করে
এক অসভ্যকে টেনে তুলেছে রিকশায়
একেবারে শরীরে শরীর মিশিয়ে
আমেজে গল্প করছে।


বিষ্ময়ে অভিভুত হই আমি
বড় হিংসে হয় আমার
আবার ভালোও লাগে।
নারীর এত ক্ষমতা!
সামান্য একটা নরকের কীট
যে কিনা ধ্বংশ হয়ে যেতে পারত
অনায়াসে
মদ,গাজা, আফিম হতে পারত
নিঃসন্দেহে
সেই ছেলেটি এত সভ্যতা শিখেছে!


আমি বিষ্মিত হই এ দেখে যে-
সেই ছেলেটি, যে কিনা
সিগারেটের জলন্ত আগুনে
পুড়িয়ে কালো করেছে ঠোঁট
আর সেই নিকৃষ্ট কালো ঠোঁটে
ঐ মেয়েটি ঠোঁট রেখে করছে চুম্বন।
ও ঠোঁটে কি এমন যাদু আছে
যে সেই ছেলেটির ঠোঁট সোনাভরা
হাসিতে ভরে উঠল?


আমি যে আমার বিষ্ময়ে বিষ্মিত
একি সেই ছেলেটি-
নাকি স্বপ্ন দেখছি আমি
আমি যে দেখছি ও এক রাজপুরুষ
রানী তার পাশে
তবে রাস্তায় যে ছেলেটিকে দেখেছিলাম
সেকি তার যমজ ভাই!
হলেও বা চেহারায় কি এতটুকু ছেদ
নেই যে তাকে চিনব না?


দেখলাম পাশেই রুপসী
ছেলেটির হাতে মোটা ইংরেজী গ্রামার
তবে ছেলেটি লেখাপড়াও জানে!
নাকি মেয়েটি শিখিয়েছে?
তবে যে রাস্তায় রাস্তায়
বোকাটেদের আড্ডায়!
একবার জিজ্ঞেস করব ছেলেটিকে?
আচ্ছা ভাই আপনি লেখাপড়া জানেন?
তবে যে সেদিন রাস্তার পাশে-
মেয়েটি স্মিত হেসে বল্ল-
আপনি কবি- ঠিকই অনুভব করেছেন
ও ভালো স্টুডেন্ট।
বোকাটেদের সাথে মিশে
হয়েছিল দিশে হারা
আমি ওকে ভালবাসা দিয়ে
করেছি সভ্য
লিখুন না কোন কাব্য!


মেয়েটির সোনালী ঠোঁটের স্বর্ন
বাক্যে যেন আমি ও সোনা
হয়ে পরিপুর্ণ ।
তার কাছে আমার কাব্যের ঝুলিটা যে শুন্য,
আমার লেখা যে অতি নগন্য,
ওগো রুপসী তুমি ধন্য।