বৃক্ষ-না, তুমি সুক্ষ্ম
তোমার শরীরে ছাল, চামড়া
কাঁটা বিছানো, অমসৃণ
তুমি অতি রুক্ষ্ম
তবুও তোমাতে দেখি না কোন দুঃখ।


বৃক্ষ-তুমি নও রমনীয়
মাটি নিচে তব মূল,
আছে কান্ড, শাখা-প্রশাখা
তবু ও অকমনীয়।
বৃক্ষ-না, তুমি সুক্ষ্ম
তবুও তোমাতে দেখিনা দুঃখ।


বৃক্ষ-না আছে তোমার
রমনীয় রেশম চুল।
আছে সবুজ পাতা
রং বে রঙে ফল ও ফুল।
রমনীর কত অলংকার
তাতে তোমার নেই কোন অহংকার
তুমি সবুজ মায়ায় ভরপুর।


বৃক্ষ-তুমি রমনীকে দেখেছ?
কত জনে জনে সে নন্দিত,
কত প্রাণে প্রাণে সে সরসতা,
জানি তোমার তাতে
নেই কোন মাথাব্যথা।
কেন না তুমিই তো
রমনীর প্রাণ স্পন্দন।
তুমিই জানো রমনীর মসৃণ বক্ষ
বৃক্ষ-না, তুমি সুক্ষ্ম
তবু তোমাতে দেখিনা দুঃখ।


বৃক্ষ-ধরাকে সরা ভাবে রমনী
রুপ,রসে তার সেজেছে ধরনী
সে ভাবে তুমি কিছু করোনি,
সে তো ললনা লালসার পাত্রী।


বৃক্ষ-রমনী কি দেখেনি তোমাকে?
কত রুপে সাজায়েছ এ ধরাকে।
কতশত পাখি, কত প্রজাপতি
ঘুরে ফেরে মুক্ত বাতাসে।


বৃক্ষ-তোমাতে ঋণী এ জগৎ
মায়া মমতায় বেঁধেছ তারে,
রক্ষা করেছ বারে বারে,
কত বিপর্জয়, রোদ, বৃষ্টি, ঝড়ে।
আকড়ে রেখেছ মাটি তোমার রুক্ষ্ম শিকড়ে
রমনী কি পারে?
পারে কি মাটির শিক্ততা ধরে রাখতে?
পারে কি মাটির উর্বরতা বাড়াতে?
পারে কি ক্ষয়ে যাওয়া রোধ করতে?
সে তো নিজে নিজেই যায় ক্ষয়ে।


বৃক্ষ-তুমিই জগতে
জীবেরে দিয়েছ প্রাণ,
দিয়েছ ফল-ফুল বাতাসে ছড়ায়েছ ঘ্রাণ,
রমনীর ঘর বসতী, বাসর-বিছানা-
সবই তো তোমারই দান।
তুমিই তো চুসে নাও বিষাক্ত বিষ কার্বনডাইঅক্সাইড,
রমনীরে বাঁচাবার ত্যাগ কর বিশুদ্ধ অক্সিজেন,
বড়ই দানশীল তুমি, তোমার লেনদেন।


বৃক্ষ-তুমি নও রুক্ষ্ম
তুমি অতি সুক্ষ্ম
তাই তোমাতে দেখি না কোন দুঃখ।
বৃক্ষ-তুমি জেগে আছ তাই
এধরায় বেঁচে আছে জীব
তবুও তোমাকে নির্মভাবে নিধন করে,
মানে না কো কভু তোমাকে শিব।


জানি না কি ভাবে এ জগতের জীব!!
                                  


                                 তারিখ: 13আগষ্ট, 2014
                                 গদারবাগ, কেরানীগঞ্জ, ঢাকা