আমি যেখানে বেঁচে থাকি সেটা হল সাহিত্য । কেন না সাহিত্যের মাঝে মানুষের জীবন-মরণের স্বাদ খুঁজে পাওয়া যায়। সাহিত্য মানুষের মনের কথা বলে। সব শ্রেণীর মানব মানবী সাহিত্যের মাঝে তার আপন স্বরূপটি দেখতে পায়। অায়নায় যেমন মুখ দেখতে পাওয়া যায় তেমনি সাহিত্যের মধ্যে ও দেখতে পাওয়া যায় নিজের সৃষ্টি, স্থিতি, লয়-সংঘাত এমন কি জয়-পরাজয় ও।


খাদ্য মানুষের দেহের ক্ষুধা মেটায়। সাহিত্য মেটায় মনের। সাহিত্য তাই অনেক বড়। সাহিত্য বহু কথা বলে, বহু ঘটনা তুলে ধরে যা মানুষ করে তবু স্বীকার করতে চায় না। মানুষ নিজেকে ভয় পায় সাহিত্য তা বুঝিয়ে দেয়।


আমার মতে সাহিত্য একটি জাতিকে বাঁচিয়ে দেয়। সাহিত্যের এমন শক্তি আছে। সাহিত্য কখনো ভুল বলে না বরং বিভিন্ন রূপে সত্যকে উপস্থাপন করে। কখনো রূপকে, কখনো কল্পনায়, কখনো বা বাস্তবতায়।


সাহিত্য সংস্কৃতির মধ্যদিয়ে বহু প্রাচীনকাল থেকে মানুষ মানুষের আচার -ব্যবহার, কৃষ্টি-কালচার ধরে রেখেছে। পথ চলেছে, চলছে।


এক কালে মানুষ ছিল অনভিজ্ঞ। তবু তারা বাঁচার চেষ্টা করেছে, বিজ্ঞতার দ্বারে তারা আঘাত হেনেছে। সাহিত্য তা জানে। সাহিত্যের মাঝে ঐ সব মানুষের জীবন-জীবিকা, হাসি- কান্নার দারুণ-নিদারুণ কথাগুলো তুলে ধরা হয়েছে যাতে মানুষ ও মানুষের প্রতি বিষ্মিত হয়।


এক একটা মানুষ এক একটা সাহিত্য হয়ে বিশ্ব সংসারে এসে থাকে। সাহিত্য তাই অশেষ। সাহিত্য কোনদিন শেষ হবে না। সিহিত্য চিরন্তন, তা জাতিকে বাঁচায়, আমাকেও বাঁচাবে।