- সিরাজ আহমেদ।


আছি'তো বেশ; ঝগড়া-বাগড়া’ও হর-রোজ চলছে-
মনে হয়- চলে যাই; যায় চোখ.. যেদিকে; শরীর জ্বলছে।
গোপনে-প্রকাশ্যে বিক্ষুদ্ধ মনে; বিক্ষোভ বাধে দানা-
সমস্ত দায়-দায়ীত্বে আমি এক’বাধ্য কুলুর বলদের ছানা।
সেটাও নাকি পর্যাপ্ত নয়; রক্ত গলে ঘাম হয়-
শ্বাস ফেলবারও স্বস্তি মেলেনা; পরিশ্রমে হচ্ছি ক্ষয়।
তার শুভাকাঙ্খী হ'তে পারলাম না কিছুতে-ই আজো,
আমি বরাবরি রয়ে গেলাম কুঁড়ে এবং অকেজো।
সব থেকে খারাপ, অকর্মণ্য, স্বার্থপর, মিথ্যুক,
কিপটে, অপদার্থ, চরিত্রহীন, মোস্ট আনস্মার্ট লোক।
আরে মশায়; এটাও আবার বলতে হবে নাকি?
'আমার তার' চোখে দুনিয়া কেমনতর; আসুন দেখি-


সেই কিপ্টে বেটে-খাটো; হোক'বা তিনি অপরিচ্ছন্ন-
সব থেকে নিখুঁত মানুষ; তবুও তার বাবাই ধন্য।
শুড়হীন হাতি, চেপ্টা নাকের হলেও দেঁ’তো মুখি-
সব থেকে জগৎ খ্যাত সুন্দরী মহিলা; তার মা'ই নাকি।
আছে বটে ঠোঁটের ঝঙ্কার তার; আর সবি'তো শূণ্য-
গো'গর্ধব বলবোনা'; কম'তি নয় বরং বেশীতে পূণ্য,
তবু সব থেকে বুদ্ধিমতি মহিলা; সে নিজে-
বুদ্ধির দৌঁড়ের জ্বালাখানা; বলবো আর কি'যে !!
যৌতুক নিয়েছেন অঢেল; বাপের হোটেলে বসতি-
ঘোরেন গায়ে লাগিয়ে হাওয়া; বছর জুড়ে মাস্তি,
তাও সই; সব থেকে দুঃখি স্বামী; তার সেই ভাই-
সেই তেনার’ই গুনগান দু'বেলায় নিয়মিত শুনে যাই।
জুতো সেলাই তক চন্ডি পাঠে; বেতনহীনা দাসি যে-
অথচ শুনি সব থেকে বড় ডাইনি; তার ভাবি সে।
অাস্ত মর্কট; পাগলে চিনলেও আজো বুঝেনা টাকা কি-
নবাবজাদা বোকাহাদা; টাকা জীবনের চালিকা শক্তি,
অলস অকম্মা; ওর জ্বালাতেও নিত্যি জ্বলে'গা-
তবুও সব থেকে সুন্দর সুযোগ্য সন্তান; তারই নিজের'টা।
ঘুষের গুরু; পাঁজি দূষ্চরিত্র সূদখোর; খুনের আসামী-
অথচ সব থেকে সফল মানুষ; তার বোনের ঐ স্বামী।
থাকেন দূরের গহীন গায়ে; ঈদে-পূঁজোয় সাক্ষাৎ
দায়-দায়িত্ব এড়িয়ে; রয়েছি নিরবিকার; মন্দ বরাত-
যত দোষ নন্দঘোষ; পেলে ছায়ায় চালায় ছুড়ি,
কিন্তু সব থেকে নিকৃষ্ট মহিলা; তার অসুস্থ শাশুড়ি।
আমরা সবে কৃষাণ-চাষা; নিজের বেলা হামবড়া-
বড় শুভাকাঙ্খী বান্ধবি'রা ও বাপের বাড়ীর লোক'রা।
ঈর্ষা হিংসা বাহাদুরি; প্রতিযোগিতায় দৌঁড়ায়-
সব থেকে সুখী প্রতিবেশিনী; বদ্ধমূল সে ধারণায়।
শ্রেনী বদলের সাথে সাথে প্রেমিক বদলে অভ্যস্ত-
দুঃষ্চরিত্রা! আমি বলিনি; খতিয়ান তারই নিজস্ব,
সব থেকে ভাগ্যশালী মহিলা তার সেইসব বান্ধবী-
তাদের সবার স্বামিগনেই অসম্ভব ধনবান আজগুবি।
সব থেকে বড় প্রশংসক; শাড়ির দোকানদারই হবে-
'আরে ভাবি, আপনাকে'যে যে কোন রঙেই মানাবে'।


সব স্বামীদের! স্বামী-দাসদের তরে-
চির সত্য এই বাক্যগুলি যুক্ত করা যেতেই পারে,
'আমি দেইখা এতদিন তোমার ঘর করছি'
অন্য কেউ হইলে; কবেই চইলা যাইত'-শতবার শুনছি।
কা'রও চরিত্রের সাথে মিললে; তা' নিতান্তই অনিচ্ছায়,
আর যদি মিলে; তবে জানি তারাও কপালে চাপড়ায়।


                             ★★★★