দিনান্তে হাত পেতে নিই মাধুকরী।
যে টুকু শব্দ অর্জন করি সেটুকু ব্রহ্ম জ্ঞানে
অক্লেশে বিতরণ করি ছন্দে।
সাদা পাতার মরা খাতায় বন্যা আসে।
আমার শহরে হেঁটে চলেন অক্ষর শ্রমিক।
কাঁঁধে ঝোলানো ব্যাগ। স্মিত হাসি।
গঙ্গার তীরে ধীর পায়ে শিবপ্রসাদ দা আসে।


কিভাবে যায় চেতনা, প্রাণ?
কে মেপেছে আয়ুর দৈর্ঘ্য সমান?
সে চলে গেছে খুব ভোরে দুয়ার খুলে
ফেলে গেছে এক রাশ নীরবতা, বিমূর্ত বিছানা।
নিঃসঙ্গ দালান।


এখনি যাবার সময় নয়!
অথবা এভাবেই কি যেতে হয়?
এই প্রশ্ন নিরর্থক তবু খুঁঁজে যাই উত্তর।
চাপা পরে থাকে বেখেয়ালি।
অর্ধ সমাপ্ত পাণ্ডুলিপি, উপন্যাস, চিঠি পত্তর
ঘুণ ধরা কাগজ আর ধুলোর উত্সবে।


তার পর আর কিই বা থাকে?
পুরোনো কবিতার খাতা আর হাত ঘড়ি ছাড়া?
নশ্বর দেহ শুধু নাম হয়ে এ জগতে বাঁচে।
ফিরে যাওয়া রবিবারে কবিতা শোনাতে
ধীর পায়ে শিবপ্রসাদ দা আসে।