আমার বনবাস জীবন।
শাল মূল পাতা যা পাই কুড়িয়ে খাই।
নদীর জলে মুখ ধুয়ে নিই।
আহা বড় শান্তির জীবন।
এখন আমার বনবাস জীবন।
অনেকদিন হল সব সাফ হয়ে গেছে
ধুয়ে মুছে একাকার।
আমার শহর। আমার গ্রাম।
আমার মৃত্যু। জন্ম। কর্ম।
অনেকদিন হল সব
শব্দ শব হয়ে মাটিতে মিশে গেছে।
অনেক দিন হল..
আগাছারা চারা দিয়ে উঠল হটাত।
বকধার্মিকরা হাতে তুলে নিল রাইফেল।
ফিনকি দিয়ে ছুটল রক্ত।
আমার পেনের রং হল লাল।
লাল হলো লক্ষ নিযুত মাথার খুলি।
ছুঁরি নিয়ে এল গলা চেপে ধরা
একরাশ আতঙ্ক।
মাথা কেটে নিল শানিত হাত।
দাম কমে গেল ব্যারেল প্রতি রক্তের
আন্তর্জাতিক বাজারে।
ধুলো আর ঝড় এক হয়ে গিয়ে
হারালাম দৃষ্টি শক্তি।
কাকে চিন্তাম আমি?
একথার উত্তর দিতে গিয়ে হলাম পনবন্দি।
বন্দি থাকল আমার দেহ।
আকাশে উড়ে গেল মুক্ত প্রাণ।
তারপর অনেক ফ্লাশবাক।
তেরচা ভাবে ঢুকে থাকা বুলেটে
কার নাম? সেকি স্নাতক না প্রযুক্তিবিদ?
নাকি আততায়ী?
দক্ষিন থেকে উত্তর মেরু তুমি খুঁজেছ উত্তর।
ওয়ালস্ট্রিট জার্নালে চরমে তুলেছ বিতর্ক।
কফিন থেকে তুলে আনা দেহ
দেখে হবে ময়নাতদন্ত।
তাহলে কি ছিল হাতে কফির গ্লাস?
না একেফর্টিসেভেন?
আমি তখনও মুক্ত প্রান।
আমার কোনোও একটা ধর্ম টর্ম ছিল একসময়।
চপারের স্পর্শে বিধর্ম হয় শরীর।
একথা জানতে পেরেছি মৃত্যুর প্রাক মুহুর্তে।
সেই থেকেই আমি বনবাসী।
অসম্ভব সুখী এক বনবাস জীবন।
আদন্ত্য প্রতিবাদী এক মুহূর্ত জীবন..