শোনো শোনো শোনো সবে শোনো দিয়া মন
ভাইপো কাকুর কথা করিব বর্ণন।


কলি কালে কলিকাতা চলে হেলে দুলে।
মাঠ ঘাট ঢাকা তার পচা ঘাস ফুলে।


ইসকুলে পড়া শুনা করে ছেলে পুলে।
ঘাস ফুলে ছবি আঁকে অ আ ক খ ভুলে।


চুপি চুপি বলি শোনো গোড়াতেই গলদ।
ক্লাস রুমে ঢুকে গেছে তিনুদের বলদ।


গায় তার ‘ঘুষ ঘুষে‘ কুচ কুচে দাগ।
আদালতে হুঙ্কার ছাড়ে কেঁদো বাঘ।


রাগ তার মহাকাল মারে জোর থাবা।
বলদ আর তিনুরা কেঁদে বলে ‘বাবা‘!


এক ছিল হুলো তার বাড়ি ভরা টাকা।
থরে থরে কালো নোট ঘরে ছিল রাখা।


সেই টাকা কার ছিল কার কাছে খাতা?
হুলো বলে চোখ বুঁজে বুকে বড় ব্যথা।


মেনি কে সঙ্গে নিয়ে হুলো গেলে জেলে
বলে গেল কিছু নাম বাকি এলেবেলে।


তারপর হুল্লোড় মহা শোরগোল।
একে একে ধরা দিল বোয়াল আর শোল।


পুকুরে তে জল নাই শুধু পাঁক ভরা।
কালো কালো পচা মাছ পড়ে শুধু ধরা।


দিন কাটে রাত যায় দেশবাসী হন্যে।
এত চুরি কেডা মাথা? করে কার জন্যে?


দিনে দিনে জেরবার রাহুর গোচর।
টুঁটি চেপে ধরে ইডি সিবিআই দোসর।


কত প্রেম চাপা ছিল কেউ সেকি জানতো?
কেবা আছে আবডালে? কার কথা মানতো?


ভয়ে কেউ দিল গালি কেউ প্রেম পত্র।
কেউ করে প্রস্রাব খুঁড়ে দিল গর্ত।


মিটি মিটি হাসত সে কালী ঘাটের কাকু
ইডি চাপা পরে তার প্রাণ হাঁকু পাঁকু।


এইবারে গেল বুঝি ভাইপোর বাড়ি?
পিসি ভয়ে থরো থরো পাতে কানে আড়ি।


রাশি রাশি ওড়ে খাতা মার্কশিট সাথে।
তাহাতে ফুচকা রেখে খায় লোকে পাতে।


লিখে লিখে হাত ব্যথা পাপীদের কান্ড।
কলি কালে এত পাপ কাঁপে ব্রম্ভান্ড।


এইবারে করি ইতি এই বলে আজ।
চোরেদের ঘরে যেন পরে জোরে বাজ।