স্বপ্নের কোনও প্রয়োজন নেই কোত্থাও
মহেশ কে নিয়ে গফুর স্বপ্ন দেখেনি।
অমল একদিন মুক্তির স্বপ্ন দেখেনি।
প্রখর তাপে মাঠ শুকিয়ে গেলে
কচুর ডাঁঁটা ঠোঁঁটে চেপে ধরে তিন ক্রোশ পথ
পাড়ি দেয় ভাই বোন।
ওরা বাঁঁচার স্বপ্ন দেখেনি।
এই নির্মম প্রকৃতি যতবার প্রশ্ন করেছে
ততবার উত্তর এসেছে নিঃশব্দে।
কেউ বাঁঁচতে চায়নি।
কেউ স্বপ্ন দেখেনি।


হোসেন মিয়ার নৌকায় উপছে পড়া রুপোলি মাছ,
আর নিশ্চুপ নদী চরে উদ্‌ভ্রান্ত কুবের।
পালিয়ে যাবার স্বপ দেখেনি।


আলেয়ার মত প্রতিদিন শশ্মানে
রাত জাগে বিশ্বস্ত আগুন।
পোড়া চামড়া ধুলো হবার আগে
একবার শীতল জল চায়।
শিয়রে নির্দয় ফাগুন।
শান্ত বাতাস দিয়ে উড়িয়ে নিয়ে যায়
রুক্ষ ছাই।
তুলসী চন্দনের প্রেম অক্ষর হয়ে যায়
একদিন।
ক্রমশ দুচোখে ঘুম নেমে আসে।
ঘন জঙ্গলের গভীরে মানুষের হারানো ঘুম,
আকাশের মেঘ হয়ে ভাসে।


তখনও স্বপ্নের প্রয়োজন নেই কোত্থাও।
কোত্থাও প্রয়োজন নেই স্বপ্নের।