ভুলে যেতে যেতে কাছের রং গুলোও-
মন থেকে মুছে যাচ্ছে,-
কাছের মানুষ বহু রূপী সাজের রঙ মাখে!  
দূরের মানুষও খুব কাছে আসে-মিশে।
গোপনে, আড়ালে গিবত গায়;
প্রশংসায় বহু উপরে তুলে,
মিছে-মিছে স্বপ্ন দেখায়-খেয়ালে
ব্যাখেয়ালে কাঁদায়-নীরবে।
আঙ্গুলের ঈশারায় কত কী প্রকাশ?
হায় হায় মনে কথা, অবুজ সরমায়,
বিরহের কথা বলে চোখ, বর্ষার দিনে।
কার সাথে গিয়ে গোপনে ঘর বাঁধে
কু-কথার আলোচনা, মাতামাতি
নির্দোষের কলঙ্ক, সর্বনাশী,- রাতারাতি।
রোকসানার ঘরে আঁধার, আলোর নিষেধ,
ঘরের ভিতরে ঘর, কোন সে ঘর-বিপদ।
লুকোচুরি লিলা, পাহারায় সাদর,
রুশির ঘরে আলো তাতেও ধূসর।
মানুষ মানুষ কে সে মানুষ?
বিপদে যার ডাক, উড়ে যায় ফানুশ?
আমার চোখ নিচু, উচ্ছ আঁখি সমাজবাদী
তোরা-আমায় করিস অপরাধী?  
নির্দোষের হয় ফাঁসি,  
তোরা সমাজের উচ্চ বাসি।
রঙের ভিতরে রঙ-এলোমেলো
মানুষের ভিতরে মানুষ, উড়ে যায় ফানুস,
মনুষ্যত্ব, মানবতা, আলো-কালো_
কে সে ভালো, কে শ্রেস্ট মানুষ?


ঘুম-নির্ঘুম, স্বপ্ন স্বরনে রাত
আঁধারে ভয়, আলোর ক্ষয়,  
ছবির ভিতরে রঙ-এলোমেলো,
আমিও ছবি তুমি মানুষের মত।
রঙের মত মানুষের মন, মানুষ যত
রঙ বদলে-বদলে অমানুষ মানুষের মত।
বাহিরে খোঁজ, ভিতরে অমত।।
বিবেকও জানে ভয়-অভয়,
মিছে সত্যের ছয়-নয়।
সাপের খোলস বদলালেও
রূপের ভিন্নতা হয় না-
সাপ-সাপই থাকে, বিষদর।
নজরে-নজর খারাপের উপর
ভালো সামাজিক ধূসর।
কথায়-কথায় মানবতা নেই!
মানবতা নেই মনুষ্যত্ব পুড়ে ছাই।
কানের কাছে ফিসফিস
চোখে রাগ, সত্য বলিস?
মিত্যে কথার হাসি, সত্যের কালি,
অপরাধী হয় বন্ধু, সত্যের হয় বলি।
সমাজ আমার, আমি অপরাধী
আমি দোষী, সমাজবিরোধী।


মানুষের ভিতরে মানুষের বাস
মানুষের বাহিরে বহু রঙের চাষ।
মানুষ ও অমানুষ মুখোশের আড়ালে
কার দাঁতে বিষ, চোখে রক্ত গলে।
হাসিতে ভয়, নরম স্বর কঠিন
কান্নাতে জল ক্ষয়-ভীষণ।
লাভ-ক্ষতি, নীরবের মরণ
হেসে-হেসে অলক্ষ্মীর বরণ।
চঞ্চল-উদাসীন, বিস্ময় স্বরন
অলস, মূর্খের কালির আবরণ।
ধর্ষণ-দর্শন চোখ মেলে বর্ষণ
পাতায় লেখালেখি খুনে মরণ।
হাত পেতে ভিক্ষা, কয়েক পয়সা
আকাশে দালান কি তোমার পেশা।
তুমি-আমি ওরাও মানুষ,
গরিব যারা বড়লোকও উড়ায় ফানুস।
দেয়ালে ঝুলানো ছবি কবে কার
দেয়াল ক্ষয়ে-ক্ষয়ে নিস্তেজ কবর।
মাটি ও মানুষ, মাটির কবর
মাটিতে বাস, মাটির আসর।
মাটিতে পাটি, কবর খাঁটি
পূর্ণ রাখো সাথে আঁটি-আঁটি।