রক্ত দেখে ভয় নয়, জয়ের ধ্বনি শুনেছি-নির্ভয়।
চোখে স্বপ্ন, স্বাধীন বাংলা,সোনার
মুখে মা-মা বলে ডাকিব আবার।
চোখের জল মুছে বোবা চিৎকারে,
নির্ঘুম কত রাত জাগা আহারে।


প্রভাত সাজিবে সবুজের মাঝে লাল পতাকা,
সুর্য উঠিবে কোন প্রভাতে' লালে লাল বাংলার মৃত্তিকা।
ঘর হারা বাঙ্গালী 'বাংলাকে নাহি ছাড়ি,
বাংলা যে আমার মায়ের শাড়ি।
মায়ে জড়িয়ে রেখেছে মাটি শত কষ্ট ভুলি,
লাল রক্ত বহে পদ্মা, মেঘনা, যমুনা, কর্নফুলী।
কৃষকের হাসি, রাখালের বাঁশি
মাঠ ভরা ফসল রাশি-রাশি।


হাজার হাজার বুলেট এসে লাগে বুকে_
বাংলার লাগি শত শত বার দিব জীবন বলি।
বাংলা আমার 'মা', মা ওগো মা,
তোমার সন্তানেরা মরেণা,
কারণ বাংলা তোমার, তুমি বাংলার মা।


শুকুনের জিহ্বায় মাংসের স্বাদ,রক্ত নিয়ে করে খেলা,
বাংলার বুকে রক্তের দাগ কেটেছে বেলা-অবেলা।
বুলেটের পর বুলেট হেনেছে, কালো হাতের থাবা,
তবুও তারা শান্ত হয়নি, মেরেছে বৃদ্ধ বাবা।
বোনের দেহে কালো দাগ করেছে কামড়া কামড়ি
মনুষ্যত্বের সাথে করেছে আড়ি।
তোরা কুকুত রাজাকার, কত খাবি মাংস ছিড়ে?
৩০ লক্ষ্য বাঙ্গালীর জীবন নিয়েছিস তোরা কেড়ে।


অস্ত্র নেই হাতে, আছে স্বপ্ন চোখে জয়
কসম; এক ফোঁটা রক্ত থাকিতে বাংলার নেই পরাজয়।
বাংলার বুকে শুঁকুনের হবে মরণ
জয় হবে বাংলার, লাল-সবুজের জীবন
জয় বাংলা, বাঙালির জয়, জয়ের ধ্বনি।