তুই মুক্তা, তুই মুক্তি-বসুদা  
তোর মাঝে পাই বন্ধুর মর্যাদা
তুই বোন, তুই আদর-সোহাগ, শাসন,
তুই কোমল, তুই প্রশান্ত-আসন।


তোর চোখে সুখ আসুক, হাসুক, বাসুক
সুবাসে উড়ুক তোর চুলের ঘ্রাণ।
তুই ভিটামিন ডি!
রোদ্রের ছোঁয়া দিয়ে, গায়ে বাতাস মাখাবি ।


তুই বন্ধু, তুই উজ্জ্বল নক্ষত্র-উচ্চ শির  
তোকে দেখে হই নব বীর
আলোর মিছিলে, কালোর নীরবে
তুই আছিস, আমার হৃদয়ে।


তোর কোলে মাথা রেখে একটু ঘুমাই?
বাবরি চুলে হাত বুলিয়ে দে আমায়,
না হয় টেনে ছিড়ে ফেল-পালাই
যত্ন করে সাজিয়ে দে চুলে দে মলয়।

পুরানো দিন গুলি কি তোর মনে পরে ?
লুকোচুরি, কানামাছি, মাছ-মাছ, কুমির-কুমির
কত হাস্যকর খেলা, এখন আর খেলি না
কত দিন তোর মুখে হাসির চিৎকার শুনি না।


তোর কথা মনে এলে
পুরোনো স্মৃতি গুলো জেগে উঠে-বারংবার  
উল্টুপাল্টু হলেই জগ্রা-মারামারি!
গ্রামের ধূলিবালি, বাড়ি, গাছ, পুকুর,
খুব মনে পড়ে।
তুই সাথী; তুই খাঁটি,
তুই মুক্তা, তুই নীরব মাটি,
তুই আমার বন্ধু শীতল পাটি।