হাত রেখে হাতের উপর ধরেছিলে শক্ত করে  
হারিয়ে যেন না যাই আমি শত ভব ঘুরে,  
তোমার হাত ধরি নাইকো একটু শক্ত করে,
তাই বলে কি হারিয়ে যাবে অন্য কোন পাড়ে?
তোমার পিছু ছুটে যেতাম কত বায়না ধরে
সব কিছু যে সহ্য করতে ভালোবাসার তরে।
তোমার কষ্ট বুজিবার আগে পাড়ি দিলে কোন পাড়ে
কোন পাড়েতে খুঁজিব তোমায়,কোন স্বর্গ বাসে
স্বপ্নের ঘরে খোঁজে বেড়াই চোখের জলে ডুবে ।  
তোমার ধ্বনি শুনিবার চাই বাতাসে কান পেতে
এক বার তুমি ডাক ভাই,ওগো নানা ভাই
এমন করে চুপটিবকরে থেকো না–কষ্ট আমি পাই ।  
এক বার তুমি চেয়ে দেখ ওগো নানা ভাই
জনে জনে খোঁজে তোমায়,তোমার চোখে চাই ।


আম গাছের নিচে খাট পেতেছে তোমার লাগি ভাই
চুপটি করে ঘুমিয়ে আছ শব্দ নাহি পাই ।
তোমার কোলের ছয়টি মেয়ে কান্নায় হয় অজ্ঞান
বার বার একটি প্রশ্ন বাবা কেন চুপ থাকেন।
ছয় মেয়ের কান্নার ধ্বনি আকাশ ফেটে যায়
মেঘ ছাড়াই বৃষ্টি নামে চোখের কোণে হায় ।


গাঁয়ে গাঁয়ে হায় হায় রত্ন বুঝি চলে যায়
পত্নীর বুকে কষ্ট চাপা,চোখ ভিজে কান্নায়
নাতি-নাতনীর আদর গুলি এই বুঝি হারায়
জনে জনে কান্দে দেখ,কান্দে সারা গাঁয় ।