রাজধানী ‘চার’ দিকে আলোর ঝলমলানি
ভিতরে কোলাহল, অবাক বাণী,
চোখ ভুজে চোখ মেলে,
কালো টাকা, সাদা টাকা
গরীবের পেটে লাথি, বড় লোকে করে মদ-মাস্তি।  
অর্থ হীন ধনী রাস্তায় করে বাস
নেই বড়-বড় বাড়ি,
গাড়ি তো স্বপ্ন হীন,
মুখে অন্ন নেই—ক্ষেত?
তো আমি বাংলার।


জানি আমি তুচ্ছহীন এই শহরে
ডাস্টবিনে ফেলে রাখা সেই ছোট্ট ছেলেটি।


ছন্দ হীন বাস্তবতা
আমি শহুরে কবি 'টোকাই'  
আমার কবিতা গুলি তৃষ্ণায় মরুভূমি,  
চার দিকে চেয়ে দেখি, আমি একাই
আমার বাক্য গুলি করে মিথ্যে জয়ের ধ্বনি,
তবে কি সত্য এমনি?
মিথ্যে সব চেয়ে দামি?


আমি শহরের আঁকা ডাসবিন
বড় লোকের ফেলে দেওয়া ময়লা?
সোনার শহরে কাঁড়ি–কাঁড়ি টাকা
টাকা ছাড়া চলে না পা-
পয়সা তো হাতের ময়লা,
ডাস্টবিনে ফেলে দেওয়া,
আমার মত তুচ্ছ পোলা।


এ শহরে টাকা ছাড়া চলে না গাড়ির চাকা
প্রেমেও হয় চলনা!
শহরের মানুষ গুলি একটু ভিন্ন
নিজেরে নিয়ে চলে কল্পনা  
আশেপাশের মানুষ গুলি হোক লাঞ্ছনা!
কার কি আসে যায়?
না খেয়ে মরে যাক
সভ্য সমাজের টোকাই পোলা।
এটাই রাজধানী
কংকিটে ঘেরা হৃদয়বখানি।


শহরের অলিগলি, অসহায় হাত খাদ্য খোঁজে
চোখের জলে কত আর দুঃখ ভুলা যায়,
কার দোষে, ভিক্ষার হাত, চোখ ভুজে?
ঘর নাহি আবার খাস জাড়ি,
অসহায় হাত দেখে, বড় লোকের ঘাড় ঘুরি,
ময়লা ঝুড়িতে ছোট্ট দেহ,
জারজ সন্তান, কে খবর রাখে?  


যার শ্রমে গড়া অন্ন–পণ্য
সে আবার জঘন্য–নগণ্য।
কার পিঠে পাড়া, কে উচ্চবিলাসী,
যতই আকাশ ঢুসি,
মাটিতেই খাট, কবর খাঁটি_
বাস তোমার সেই ভাবনার ‘নগন্যের’ সারি!  
আজ চোখে আলো, আজই কালো,
কিসের আশায়, টাকার নেশায়?
কার পিছে ছুটে, কার মান লুটে,
নাকি নিজের পাপের ওজন নিয়েছ মেপে
খারাপ-ভালোর পাল্লা সমানে?
তবে এপৃট ওপিট কর এক পিটে।