হিমেল সমিরণে শোভিত সুবাসে
এলো ফাল্গুন নব-বধূ সাজে।
বাংলার ঋতু বৈচিত্র্যে কোকিল
প্রেম বিরহ মিলনে কু-হু, কু-হু গানে
কাঁঠাল চাঁপা, দেবদারু অন্ধকারে,
ঘুঘু শিকারী ফাঁদে,
দোয়েল পল­ব ফাঁকে মিষ্টি সুরে পেখম তোলে।


এলো ফাল্গুন
পত্র ঝরা শাখায় কিশোলয় বাহারে।
হরিহর নদী বৈশাখী হাঁটুজলে।
আম্র মুকুল গন্ধে মৌমাছি মৌচাকে।
রেণু পাঁপড়ী মেলে ঢালি সজ্জাতে।


এলো ফাল্গুন
ঋতুরাজ বসন্ত মেলা গানে
তপ্ত রোদ্দুর ঘামে বালকের ঘুড়ি উড়াতে
বালিকার ধূলা-মালায় বন ভোজন আয়োজনে।
ঘুমহীন চোখে হৈ-চৈ, কানামাছি আর গোল­া ছুটে।


এলো ফাল্গুন
কবিতার অলংকার সাজে
ফাল্গুন বন্দনা কবির কাব্য সূচনাতে।
এ প্রজন্মে নব কবি তাহারেই বরণে স্মরণে বন্দনা করে
আজি এলো ফাল্গুন ধরিত্রীর রূপ বাহারে।
আজি হতে শত বর্ষ পূর্বে পড়িবে কি মোরে মনে
যদি রয় স্মৃতিটুকু অবক্ষয় নষ্ট পৃথিবীর মাঝে।