মানুষ কেন জন্ম নেয়
এই দুনিয়ার তরে,
হাসি তামাশায় থেকে কিছুদিন
হাত বাড়ায় অজানা পারে ।।


পরিবারে যদি থাকে কেউ বড়
শত চিন্তা তার মাথা হয় ঝড়,
ফাঁড়ি জমায় শহরে গিয়ে
ফুটপাতে নড়-বড় ।।


দু-এক বেলা উপোস থাকে
অভাবে আছে যারা,
সুযোগ বুঝে খাটিয়ে নেয় যত
মালিক শ্রেণীর তারা ।।


এখানে তাদের মূল্য নেই বলে
প্রাণ দেয় তারা অকাতরে,
সুখের বদলে দুংখ নিয়ে
চলে যায় অজানা পারে ।।


দগ্ধ হুতাশনে পবনের ছোঁয়া নেই
উত্তপ্ত ঘায়ে ঝরে ঘাম,
এদের বেতন না দেওয়াটাই আজ
গাড়ি-বাড়িওয়ালাদের নিত্য কাম ।।


কেন শ্রমিক নির্যাতিত, অবহেলিত,
নিকৃষ্ট কী তার কাজ,
অবহেলা না করে তাদের
মিটিয়ে দাও সব পাওনা আজ ।।


তাদেরি কারনে বড় তুমি আজ
পাচ্ছ সোনার ক্রেষ্ট,
শ্রমিকের পাওনা মিটিয়ে দিলে
তবে-ই তুমি বেষ্ট ।।


গরিব হয়ে জন্মেছে সে
দোষ কি তাতে তাহার,
তাহারি মত খুজিবে একদিন
হয়তো তুমি আহার ।।


বুঝিবে হয়তো তুমি সেদিন
থাকবে না সময় যেদিন,
মৃত্যুতে ও কেউ আসবেনা পাশে
ভাববে; জীবনটা আসলেই কঠিন ।।



লেখা-৩০/০৬/২০১৩
প্রকাশ-১৭/০৯/২০১৪