ছানি পরা ঘোলাটে চোখের জলে কম্পিত দুটি হাত ঊর্ধ্ব গগনে মেলে -
আমি আজও আমার হারানো যা খুঁজে যাই নীয়ত তার নাম স্বাধীনতা ।  
মনে পরে একাত্তরের সেই রক্ত ঝরানো কালো রাতের ত্যাগ আর বিসর্জন  
গ্রেনেডের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে শত্রুর মোকাবেলায় সপে দেয়া নিজেকে
মনে পরে সেই আপন জন ভুলে, আপন দেশের টান কতটা ছিলো সতেজ  
ইচ্ছে একটাই স্বাধীনতা,মুক্তির স্বাদ নেয়া রক্তের রন্ধে কি ভাবে সেলাই করেছি দেশ প্রেম
আজ সব গেলো তার রসাতলে,কেবলই বেয়ারা স্বপ্ন হৃদয়ের প্রেতাত্মাকে করে ভ্রূকুটি    
মগজে স্বাধীনতার ইচ্ছে রিক্ত হয় তিলে তিলে,পরাধীনতার অবনত শিরে ধীরে,ধীরে    
আজ আমারই জন্মভূমির ধর্ষিত নগ্ন দেহের উপর পা রেখে অট্টহাসি দেয় জালেম অধীশ্বর  
এ হিংস্রতার লোলুভ নর পিচাশ সৈন্যের কাছে,আমি এক নিরুপায় মুক্তিযোদ্ধা    
শুধুই দেখে যাই আর,সয়ে যাই মন ও মগজের দ্বৈরথ যুদ্ধ, প্রতি দিন প্রতি ক্ষণে    
লাল সবুজের পতাকার দেহ জমিন চিঁড়ে জন্মেছে অশরীরী লোলুভ রঙ্গের দেয়াল  
একাত্তরের বলিদান ভুলে মানবতার মৃত লাশের শরীরে রক্ত চন্দনে করে  চিত্রণ,ক্ষমতার তুলিতে  
আর আমরা যারা উপায়হীন পঙ্গু দেহী, জমের পাঠশালায় খুঁটে খাই মুক্তিযোদ্ধা সনদের নামে –  
ভাতা নামক বেচে থাকার হীনতার হাতের দান,এই অবেলায় পাওয়ার বুঝি এটুকুই, ছিলো প্রাপ্তি  
একাত্তরের যে লাল অদ্রি এনেছিলাম ছিনিয়ে, তা আজ বিলীন প্রায়,কলঙ্কিত দেশপ্রেম নামের মুখোসে  
মুক্তি যুদ্ধ অথবা যোদ্ধার চেতনার বিকৃত রূপে অবাধে ঠাই করে নিয়েছে নব আবির্ভূত মিথ্যে লীলা কলা  
হে প্রজন্ম ! আর কিছুই যে নেই দেয়ার, যা দিয়েছিলাম তা আজ ঘিরেছে বিপত্তির অক্টোপাস  
আমি,আমরা বড় অপারগ বড় বেশী অক্ষম এ স্বাধীনতার নামক পরাধীন কারাগারে  
এ নিষ্ফল সন্তাপ আবেদন ক্রন্দনে শুধুই ভিজে বুক,ভিজেনা পাথর সময়ের মাটির জমিন  
হে শত শহিদ পাণ,উত্তাল একাত্তর শত বিসর্জন ! ক্ষমা কোরে দিও আমাদের
করুণার দান নয় আজও চাই আমাদের অর্জিত স্বাধীনতা স্বর্ণ খচিত কোনো পদক নয় ।