যদি কবিতা লিখে তোমাকে পাওয়া যেত,
তাহলে আমি হাজার হাজার কবিতা লিখে ডায়েরির পাতা ভরে দিতাম।
যদি গান গেয়ে তোমাকে পাওয়া যেত,
তাহলে আমি হাওয়ায় হাওয়ায় সুরের মূর্ছনা ছড়াতাম।
যদি নাচ দেখিয়ে তোমাকে পাওয়া যেত,
তাহলে আমি নৃত্যের তালে তালে দুনিয়া কাঁপাতাম।
যদি সুধু স্বপ্ন দেখেই তোমাকে পাওয়া যেত,
তাহলে দিবা নিশি নয়ন ভরে লক্ষ্য কোটি স্বপ্ন সাজাতাম।
যদি দেহ দিয়ে লুভিয়ে তোমাকে পাওয়া যেত,
তাহলে তোমার তরে অকাতরে এই দেহটা বিলিয়ে দিতাম।
যদি অর্থের বিনিময়ে তোমাকে পাওয়া যেত,
তাহলে যেভাবেই হোক তোমার দাবিকৃত মুল্য পরিশোধ করেই
আমি তোমাকে কিনে নিতাম।
যদি দেশান্তরী হয়ে তোমাকে পাওয়া যেত,
তাহলে দীর্ঘ পাঁচ হাজার মাইল পথ পায়ে হেটে অতিক্রম করে হলেও
আমি ঠিকই তোমার কাছে চলে আসতাম।
যদি রক্তের বিনিময়ে তোমাকে পাওয়া যেত,
তাহলে শরীরের শেষ বিন্দু রক্ত দিয়েও আমি তোমাকে জয় করে নিতাম।
যদি পাগলামি করে তোমাকে পাওয়া যেত,
তাহলে আমি পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ পাগলী হতাম।
যদি ভালবাসার বিনিময়ে তোমাকে পাওয়া যেত,
তাহলে দেখতে আমি ভালবাসার অথৈ সাগরে তোমাকে ভাসিয়ে দিতাম।
কিন্তু আমার হৃদয় নিংড়ানো ভালবাসার কোনো মূল্যই তোমার কাছে নেই।
করলে শুধুই খেলা আমার ভালবাসা আর আবেগ নিয়ে!
কেড়ে নিলে মুখের হাসি, ভেঙ্গে দিলে তিলে তিলে সাজানো আমার সব স্বপ্ন।
চাইলে তুমি চোখের জল!!
যেটা এত বছর থেকে অঝর ঝর্না ধারার মত ঝরিয়েও
আমি তোমার চাহিদা পূরণ করতে পারছিনা।
আর কতটা অক্ষি জল ভাসালে তোমাকে পাওয়া যাবে বলতে পারো?
আর কতটা নয়নের জলের বিনিময়ে তুমি আমার হবে?
কিন্তু আমার চোখের জল তো শেষ হয়ে এলো জান!
আমার আঁখিতে খরা লেগেছে, এখন আর নেত্রে জল আসে না।
আমি পারলাম না তোমার চাহিদা পূরণ করতে, জান।
তাই আজ আমার দুঃখের কোন অন্ত নেই, নেই কষ্টের কোন সীমানা।
আমি খুব খুশী হতাম যদি এইভাবেই
চোখের জলের মত আমার নিঃশ্বাস ও শেষ হয়ে যেত!
কারণ তুমি বিনে এই নিঃশ্বাস আমার কোন কাজের না,
তোমাকে ছাড়া এই জীবন ও আমার আর কোন প্রয়োজন নেই।
জান, তুমি দুয়া কর এই নয়ন জলের মতই আমার চোখের দৃষ্টি,
শিরায় শিরায় রক্ত প্রবাহ, হৃদয়ের স্পন্ধন আর নিঃশ্বাস ও শেষ হয়ে যাক।
তোমাকে ছাড়া আমি বাঁচতে চাইনা আর -এই সুন্দর ভূবনে!
তোমাকে ছাড়া আমি স্বপ্ন দেখিনা আর অন্য কারো -এই স্বপ্নিল নয়নে!!!


© কপিরাইট সংরক্ষিত ®