তোমায় যেদিন দেখেছিলাম,
কাশিমপুরের পার্কে।
সেদিনই মোর দেহ থেকে,
মন গেছিল হর্কে।
সেদিনের সেই অল্প দেখা,
অল্প কথার ভীড়ে।
হারিয়েছিলাম আমার এ মন,
তোমার মনের নীড়ে।
মনে মনেই হয়েছিল,
মনের বিচরণ।
কেউ ভাবিনি বন্ধু থেকে,
হব আপন জন।
আপন বলা ঠিক হবে না,
আপন থেকেও আপন।
একটি ক্ষন না কথা হলে,
মনে দুঃখের কাঁপন।
আমার শত দুঃখ বেথা,
শত অভিমান,
তোমার মুখের কথায় হত,
সবার অবসান।
তুমিই ছিলে মন মহলের,
একমাত্র রানী।
আমায় তোমায় নিয়ে লোকে,
করত কানাকানি।
আমি ভাবতাম আমায় তুমি,
ভালবাস অতি।
ভাবনা যে সব মিথ্যে ছিল,
বুঝিনি এক রতি।
আজো আমি বুঝিনি যে,
কি হয়েছে তোমার।
কেন আমায় ছেড়ে গেলে,
কি দোষ ছিল আমার।
শেষ কথাতে বলেছিলে,
আমি কদাকার।
আমায় মেনে নিবে না তাই,
তোমার পরিবার।
এই কথাটাও ছিল হয়তো,
ছলনার এক অংশ।
ছল করে এই জীবনটাকে,
করে দিলে ধংস।
তোমার নামে লিখব না আর,
গান কবিতা ছন্দ।
তোমার দেওয়া মিথ্যে আশায়,
হব না আর অন্ধ।
তোমার যত ছল চাতুরি,
মিথ্যে অভিনয়।
একে একে সবার সাথেই,
হল পরিচয়।
তোমার কাছেই শিখেছি সব,
নিরব প্রতারণা।
কেমন করে মন ভাঙা যায়,
তাও হয়েছে জানা।
তবু আমি দোয়া করি,
থাক অনেক সুখে।
সারাক্ষণই সুখের হাসি,
থাকে যেন মুখে।