আমি লিখিনি প্রেয়সীর তরে
শুধু লিখা গুলো চলে গেছে তার তরে
আমি শুধু শব্দ গুলোকে ছেড়ে দিয়েছিলেম
বলছিলেম, হারিয়ে যাও শব্দরা।


তারা দল বেঁধে কাব্য হল,ছুটল
আমার প্রেয়সীর পিছু পিছু;
হারিয়ে গেল সেই পথে
যে পথে হারাতে দেখেছিলেম তারে;
গেছে সেই দিকে
যেদিকে আমি খুঁজিনি কোন দিন
যে দিকের নাম নেই,যা অপার্থিব।


ভেবেছিলেম, যে গেছে তো গেছে
তাকে ফেরানোর চেষ্টা যে কেবলই বৃথা
তাকে আমার করতে চাওয়া শুধুই বিভ্রান্তি;
তখনো দৃষ্টি গোচর হয়নি তার রেখে যাওয়া পদচিহ্ন
তখনো অনুভব করতে পারিনি জমাটবাধা রক্ত
স্পর্শ করিনি ধুলো জমা আমি সদৃশ ডায়েরি।


আমি লিখিনি সে ডায়েরির পাতায় পাতায়
শুধু শব্দ গুলো ভাসিয়ে দিয়েছিলেম শুন্যে
তারা উড়ে উড়ে স্মৃতির আকাশ পেরিয়ে
বাসা বেঁধেছিল সেই ডায়েরির পাতায় পাতায়।


সে ডায়েরিতে আছে প্রেয়সীর শ্যামল হাতের স্পর্শ
আছে হৃদয় নামক রক্ত গঙ্গার গতি পথের দাগ
আছে অদ্ভুদ এক গন্ধ,যে গন্ধ বেলি রজনিগন্ধার মত নয়
এই গন্ধ নেশাসক্তদের আড্ডাস্থলে পাওয়া গন্ধের মত
কিংবা পোড়া পেট্রোল অথবা পচা কাদার মত
শুনতে কদর্চ কিন্তু নিতে সুমিষ্ট।।


আমি তো তার জন্য লিখি না
শুধু লেখা গুলো চলে যায় তার তরে;
শুধু যখন থেমে যায় মোর লেখনি
তার ভেতর ঢুকিয়ে দেই প্রেয়সীর অশ্রু ভেজা কাজল;
আমার কলম বড্ড বেরসিক
সে কালো বাসে না ভালো,তাই ছুটে পালাতে চায়
আর যেতে যেতে তৈরি করে অক্ষরমালা
সাজিয়ে দেয় পৃষ্ঠায় পরম যত্নে।


প্রেয়সী মনে রেখো আমি তোমার তরে লিখিনা
আমার লিখা গুলো চলে যায় তোমার তরে।