আপনাকে আমি কখনো দেখিনি।
ছবিতেও না।
বাবার কাছে শুনেছি – আপনার অনেক কথা
প্রত্যহ প্রভাতে স্নানান্তে গীতা পাঠ করতেন
তারপর জলগ্রহণ ।


চন্দনে সজ্জিত মধ্যকায়
গৌরাঙ্গ দেহে ছিল সততার আলো আর জীবনের গান
সন্ধ্যায় দেহতত্ত্বের গান গাইতেন
পালদের বাড়িতে।
মাসে চার আনা জলপানি মিলত।


রামায়ণ গানের আসরে
আপনার চোখে মুখে দিব্য আলো খেলত,
শিলেট বগুলা বহরমপুর
ঢাকা ময়মনসিংহের
ধুলো - মাটি – জল - হাওয়া
এসে মিশত বাঁকুড়ার প্রত্যন্ত গ্রামে
আপনি খালি পায়ে হাঁটতেন।


হাঁটাহাঁটি খাটাখাটি কত
তবু কখনও মিথ্যে কথা বলেননি।
কারো ক্ষতি চাননি
নির্জনে দরিদ্র হয়েই থেকেছেন,
তাই ঈশ্বরের প্রভা এসেছিল  আমাদের ঘরে।


বাড়িতে থাকলে
তাঁত গাড়ে কাটত সকাল দুপুর বিকেল
ভদ্র ভাবে বসে তাঁত বুনতেন,
দেশি সূতির গামছা ফেরি হোত
গ্রামে ও শহরে।


বাংলাদেশ থেকে ফেরার সময়
একবার নাকি ডাকাতের খপ্পরে পড়েছিলেন!
তবু ভয় পাননি,
কী এক মায়ায় ডাকাত আপনাকে ছেড়ে দিয়েছিল।
‘ডাকাতের হাত’ নামে একটি বাংলা সিনেমায়
আপনি অভিনয় করেছিলেন
কেমন ছিল সেই অভিনয়?
খুব জানতে ইচ্ছে করে।
এখন আমি তন্ন তন্ন করে খুঁজি
সেই চলচ্চিত্রের কপি-
যদি পাওয়া যায় -
যদি আপনাকে একবার দেখতে পাই।