ছোটবেলা থেকে বড়বেলা – অনেকটা পথ
টানে টান টানটান প্রাণ,
ইশারাতে ইচ্ছের জোরে
আকাশের সপ্তর্ষিমণ্ডল তাকে যেখানে আনলো
সেখানে শকুনির মুখোশ পরে ছিল একটা ভয়ানক লোক
নিপুণ অভিনেতার মত গাজর রঙের চশমা এঁটে
দাঁড়িয়ে রয়েছে সে হাসি মুখে, হাতে তার যথেচ্ছ মৃত্যুবাণ
তার লঙ্কা হাত থেকে শিমূল মন হয়ে বেরোচ্ছে
বিষাক্ত তীরের ফলা – হেজিমনি হেজিমনি
কী ভীষণ হেজিমনি, দুর্যোধন প্রহারের পর প্রহার করছে
স্টাসিমনে উঠছে ধুয়া
‘হেই সামলে চলো ছোট মুখ
হেই সামলে চলো ব্যাঁকা মুখ’
মেকি কুলগুরু বুদ্ধিজীবী তকমা নিয়ে বলেছেন
ইংরেজীতে ভাবতে হবে নতুন পতন
বিদেশিদের মত করতে হবে জীবন যাপন,
তবু কতিপয় মানুষ হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রমে প্ল্যান টু-থ্রি করেও
সংস্কৃতকে অপবিত্র করতে পারেনা।
পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ গ্রন্থ মহাভারত এখনো দাঁড়িয়ে থাকে
বীর অভিমন্যুর ঋজু মনের পাশে।


মেকি ধারণায় বিভ্রান্ত বাকি কৌরবকুল
দানবেরা শিক্ষা দিলে টালমাটাল সমাজ
মিথ্যে কলঙ্কে গায়ে গতরে ব্যথা -তাও কি মানতে হবে
কর্মকে ওরা বলেছে কাম- তাও কি শুনতে হবে
এর চেয়ে অভিমন্যুর মরে যাওয়া কি ভালো নয়?
সহ্য করা যায় না হে চক্রান্তের প্রহর,
তবু রথের চক্র ঘর্ঘর - সহিষ্ণু প্রান্তর
এখনো নামেনি সন্ধ্যা মহাযুদ্ধ ভূমে
একা অভি রক্ষা করে নগর গড়
না না আপনারা তাকে আরো  ভালোবাসুন
মনে মনে একটু প্রার্থনা করুন -
এ যুদ্ধ যেন শেষ না হয়।
এ যুদ্ধ যেন কোনোদিন শেষ না হয়।