ক্ষুধিত পাষাণের তরে, ফিরে আসি বারে বারে; যদি মেলে বিন্দুসম করুনার দান।
মানুষের সদৃশসম, তাহাদের মতো আমরাও মানুষ যেন; তবু কেনো এই বিস্তর ব্যবধান?


কারো আছে অঢেল বিত্ত, সদম্ভ হাসি, প্রাচুর্য রাশি রাশি; আর কেউ বাঁচে উচ্ছিষ্ট খেয়ে। মানবতার এই চরম অপমান কেন চরম সত্য -দেশে দেশে, সর্বসময়ে?


যারা বলে মানবতার কথা, উড়ায় ঝান্ডা মানবিকতার;তাদের তৈরী অস্ত্রেই ঘটে হাজার
প্রাণ সংহার! একবিংশ শতাব্দীর সন্ধক্ষণে-
জীবনের চেয়ে আজ বড় সুতীব্র যুদ্ধাস্ত্রের ঝংকার।


রাষ্ট্রে রাষ্ট্রে চলে অস্ত্রের বেচাকেনা, পরমাণু বোমার সক্ষমতায় বরাদ্দ লক্ষ কোটি; লক্ষ লক্ষ মানুষ না খেয়ে মরে, শকুনেরা খুবলে খায় কংকালসার শরীর, অথচ তাতে 'মানবিক রাষ্ট্র' সমূহের হয় না ভ্রুকুটি!


নিরন্নের বড় দায়, জন্মের পরই শুরু অবিরাম বাঁচার লড়াই। লড়তে লড়তে একদিন ঝরে যায় পৃথিবীর বুকে। ধনিক শ্রেণীর কী সুপ্রসন্ন ভাগ্য! জন্ম থেকে মৃত্যু অবধি কাটে অনাবিল সুখে!


তাদের কাঁদতে হয় না, তারা কাঁদায়, অন্যকে কাঁদিয়ে তারা করে মানবিক রাষ্ট্রের মর্যাদা অর্জন। আমাদের বিষন্ন বিবেক আছে, কন্ঠছেঁড়া প্রতিবাদ আছে, কিন্তু স্বার্থের সংকটের কারণে তাদের করতে পারি না বর্জন!


যন্ত্রণাদগ্ধ হাজারো শিশুর কান্না, বাঁচার আকুতি; গৃহহীন, অন্নহীন, বস্ত্রহীন, চিকিত্সাহীন লাখ লাখ মানুষের আর্তনাদ মিলিয়ে যায় সুপারসনিক বোমারু বিমানের ঝংকারে। মানুষকে মেরে যারা ' ওয়ান হান্ড্রেড পার্সেন্ট সাকসেসফুল অপারেশন'- এর কৃতিত্ব ঘোষনা করে, তারা মানবতার শত্রু, তাদের বিরুদ্ধে জাগুক লড়াকু প্রতিবাদী বিবেক, দেশে দেশে- বিশ্বজুড়ে।


লন্ডন
২৭ এপ্রিল ২০১৮