নির্ঘুম রাত।
চারিদিকে অন্ধকারের কালো রঙ,
আমি ব্যালকনিতে চেয়ার পেতে বসে,
একটা উপন্যাসের ভাব নিয়ে ভাবছিলাম
গল্পটা  কোথায় গিয়ে নোঙর করে!


খেয়ালস্রোতে যখন ভাসছি আমি
দৃষ্টি ছুটে গেলো আবছা আলোয় কে যেন হেঁটে যাচ্ছে
বড় পাশের দালানের ছাদে। দালানটি সদ্য নির্মিত, জনমানবহীন।
আমি গলা তেড়ে বললাম,' কে যায়? কে যায় ?
উত্তর পেলাম না।
শুধু তার জ্বলমলে উজ্জ্বল দাঁতগুলো আমাকে ধাক্কা দিল।  


রাজমিস্ত্রি খালি সিমেন্ট ব্যাগগুলো আগোছালো ভাবে ফেলে গেছে,
বাতাসের শব্দ এমন হবার নয়,কিন্তু এখন সেকি উৎপাত!
যেন কেউ নৃত্য করছে।
আচমকা আমার সমস্থ শরীর ভয়ে কাঁপছে ঠকঠক করছে,
বুকের ভিতর ধকধক করছে, তার দৃষ্টি যেন আমায় গিলছে,
আবছা শরীরের ছায়া যেন কোন মায়াবিনীর মায়া।


ভূত নয়তো?
আমি শিউরে উঠলাম, এ কেমন হাড় কাঁপানো তান্ডব আমার শরীরে
আমি তাকে আবিষ্কার করলাম,কোন এক নারীর ছায়া,
আরো কাছ থেকে তাকে বুঝতে চাইলাম,
মেয়েটি খিলখিল করে হেসে উঠলো বিকট শব্দে
সাদা কাপড়ে মেয়েটি আমার গ্রীল ছোঁয়ার পাঁয়তারা করছে
আমি ভয়ে নির্বাক,কম্পিত হতবাক।  
চোখ বন্ধ করে দাঁড়িয়ে আছি।
আমি কী ভীতু?
নাকি মতিভ্রম?


রচনাকাল
২৭।০২।২০১৬
ইউ এ ই