আজ অযোধ্য জুড়ে শঙ্কধ্বনী- পুষ্প বৃষ্টি ঝরে,
দশরথ নন্দন আসলো ফিরে-গুরু গৃহ ছেড়ে।  
কৌশল্যা আর কৈকই মাতা -সুমিত্রার  উচ্ছাস,
রগুবংশে  শ্রীরাম, লক্ষণ,ভরত শত্রুঘ্ন  উল্লাস।  


দশরথ রাজা বক্ষ মাঝে -শ্রীরামকে নেয় টেনে,
কৈকই আজ  মহাখুশি- শ্রীরাম প্রেমে প্রাণে।  
প্রাসাদে প্রবেশ করে শ্রীরাম - গেল কৈকেয়ী মতার ঘরে,  
মাতৃ হৃদয় আজ উল্লাসিত- আশীর্বাদ দেয় প্রাণ ভরে।


সুমিত্রা মাতা শিব মন্দিরে-  সন্তুষ্টি প্রকাশ করে,
রাজকুমারগণ ফিরে এসেছে- বিদ্যালাভের পরে।
পিছন থেকে  শ্রীরাম ডাকে- কোমল কন্ঠে মাতা,
সুমিত্রা মাতা চমকে উঠে - দাঁড়িয়ে চার ভ্রাতা।


অবাক চোখে দেখেন তিনি- সুখের আঁখি জলে
শৌর্যেবীর্যে আজ অতুলনীয়- রূপে গুনে বলে।
সেই ছোট্ট বেলায় ডেকেছিলো- এমন মিষ্টি সুরে,  
কত বছর কেটে গেলো- মাতৃ আদর থেকে দূরে।


কৌশল্যা মাতা প্রতীক্ষারত - শ্রীরাম আসবে ঘরে,
আমোদ আহ্লাদে ভরিয়ে দিবে- ভোজনের তরে।
কতোকাল কেটে গেলো খায়নি- মায়ের হাতের ব্যঞ্জন ,
হরেক রকম ভোজন প্রস্তুত - কৌশল্যা মাতার রন্ধন।


শ্রীরাম  গেলো মায়ের  কক্ষে- লক্ষণ ছিলো পাশে,
ভরত শত্রুঘ্ন লুকিয়ে এলো-মাতা  কেঁদে কেঁদে ভাসে।
তাঁর চক্ষু জ্যুতি উদ্ভাসিত- সন্তানদের আগমনে
বক্ষে টেনে কেঁদে নিলো-  স্নেহভরা অমৃত সুখ প্রাণে।


প্রজাগণ আজ  উল্লাসিত- তাঁদের রাম এসেছে ফিরে,
উৎসবে আজ উদ্ভাসিত - পুরো  অযোধ্যা রাজ্য ঘিরে।
প্রেম,ভক্তি সদা ন্যায়ের  রাজ্য - শক্তিশালী রঘুকূল।
প্রতিজ্ঞাপালন তাঁদের রাজধর্ম - শত সংশয় প্রতিকুল।


রাচনাকাল  
২৬। ০৯।২০১৬
ইউ এ ই


বিঃদ্রঃ-প্রিয় কবিতাপ্রেমী  আসরের  কবিগণ, রামায়ণ হিন্দু ধর্মের  একটি  বড় গ্রন্থ।এটি রচনা করেছেন  ঋষি বাল্মীকি মুনি। আমি  চেষ্টা  করবো পুরো রামায়নটাকে কবিতা আকারে আপনাদের সন্মুখে  তুলে ধরার। এতে  আমার  ভুল ভ্রান্তি  হলে মার্জনা করবেন এবং অনুগ্রহ করে আলোচনা করবেন। সবায়কে   ধন্যবাদ।