কাল আগমনী আলোয় একটা  চিঠি পেলাম,
পিয়ন সাইকেলের ক্রিং ক্রিং শব্দ করে
উচ্ছ্বাসিত হয়ে  দাঁড়ালো আমার সামনে,
এখন তো  ইমেলেইর   যুগ,  
তবে  চিঠি  কোথায় থেকে ?
পাশের ঘর থেকে  মা  ডেকে বললেন,
কিরে  খোকা, কে এলো রে ?
আমি হালকা স্বরে  বললাম মা, পিয়ন।
মা আমার,  বোধহয়  একটা  বড় নিঃশ্বাস ছেড়েছেন
ভিতর থেকে, তা আমি  অনুমান করছি।
গতমাসেও  একটা  চিঠি এসেছিলো,
মা আমায় দিতে ভুলে গিয়েছিলেন,
পরে  মা কোথায় রেখেছেন তা  মনে করতে পারেননি,
আমিও তেমন আর গুরুত্ব দিয়ে,
তা আর খুঁজে দেখার চেষ্টা করিনি।
কিন্তু  আজ আবার  চিঠি!!
পিয়ন ভদ্রলোক বয়সের ভারে চেপে বসলেও
মনটা কিন্তু  বেশ আপডেটের ,মুচকি হাসি হেসে বলল,
কী  খোকাবাবু এমন রঙ্গিন চিঠি কোথায় থেকে ?
গত পাঁচ ধরে তোমার  বাড়ির দরজায় আমায় আসতে হচ্ছে ?
তখন বুঝতে  পারলাম, এই চিঠিটা তাহলে প্রথম না !
এর আগে আরো  পাঁচটা। আমি  খানিকটা বিস্মিত!
চিঠিটা পড়ার জন্য মনের মাঝে বেশ  কৌতহলের জন্ম নিলো।
আমি বাড়ির ছাদে গিয়ে  একাকী দাঁড়ালাম ,
চিঠিটা পড়ার জন্য আমি একেবারে প্রস্তুত।
মা আমার   পিছন থেকে বললেন, "হতছাড়া মেয়েটা !  
একটা চিঠি  লিখতে গিয়ে কতগুলো বাংলা বানান ভুল!"  
আমি  মায়ের দিকে বিস্মিত চোখে তাকালাম,
মা আমার সব চিঠি গোপনে পড়েছেন ।
অথচ আমায়  জানতে দেননি।  
মা আমার বিস্মিত চোখের দিকে তাকিয়ে হেসে দিলেন,
বললেন- ওরে  খোকা মেয়েটিকে আমার  পছন্দ, কথাবার্তায় বেশ,
আমি তুই সেজে মেয়েটিকে বাজিয়ে দেখেছি, আমার ভালো  লেগেছে,
মেয়েটি তোর উপন্যাসগুলো পড়ে সে এখন তোর বড় ফ্যান।
এবার তোর পালা।


মা আমার সবচেয়ে  বড় বন্ধু।
তাই তো  তাঁর পছন্দ আমারো পছন্দ।
এরপর থেকে আলাপ শুরু, তবে এখন আর চিঠিতে নয়।


রচনাকাল
১২।২৯।২০১৭
ইউ এ ই