অঙ্কুরিত বন্ধু তোমার আহ্বানে আমি হাত বাড়িয়েছি
আলতো করে ধরো,আরেকটু কাছে ঘেঁসে,
সম্বর্ধনা জানাবো মনের সীমান্তে ভালোবেসে
দৃঢ়চিত্তে দৃপ্ত শাখা মেলে উজাড় করে ।
উত্তপ্ত স্পর্শে প্রকম্পিত বাহুডোরে উদ্ভাসিত
হৃৎস্পন্দনে তীব্র সংহার নিভাবো প্রদূম্রজ্বালা,
নিরঙ্কুশ মন অনশ্বর মানবসত্তায় ভাসাবো দু'জনে।
অস্ফুট আবছা আলোয় মোমের দীপে তোমার রূপ
দেখবো অবিরত,প্রস্ফুটিত গোলাপের আলোতে,
লাঞ্চিত বসন পড়ে থাকবে নরম বিছানার শিয়রে,
আর আমি চাষ করবো,এক রাশ ফুলেল অঙ্কুর ।
বসন্তদূত আসে ফাগুনে,ক্ষতবিক্ষত করে মনের আগুনে
আর সেই অনলে দগ্ধ সঞ্চিত স্বপ্নেরা অস্থির হাওয়া অরণ্যপর্বতে,
দুর্জয় দুর্বার গতিতে মনাকাশে উজ্জ্বল রোদ্দুরে।


রচনা
২১।০৩।২০১৪
------------------------------------------
আরো বেশি দিন বাঁচতে ইচ্ছে করে
      জীবন্ত হৃদয়-মাঝে ক্ষত,
      চন্দ্রের আলোর রশ্নি খুঁজি
চৌদিকে রাহাজানি ক্ষমতার দাপট শত।


অসহায় মানুষ আজ ভয়ে শঙ্কিত মনে
     লিখতে চাই ভরসার কবিতা,
     সাহস যোগাবে মনে কষ্টের
দিন গুলোর পথে শুনাবো স্বপ্নের সবিতা।


যারা নিত্য করে হানাহানি এই সূর্যকরে
     কবিতায় তাদের বলে যাই,
    এই সংসার মোরা ক্ষণিকের
তবু অত্যাচার নিপিড়ন করছ কেন ভাই?


ঠাঁই লও ওরে দানব মানব স্রষ্টার ঘরে
     যে ঘরে শুনায় শান্তির বাণী,
      যত পাপ মুছে যাবে শত
ভক্তিতে  ভগবান কল্যাণ বইবে আনি ।


পুষ্পিত কাননে  ফুলের  সুবাস ছড়ায়
     সুগন্ধে আলো বইছে রাজে,
     সেই আলোয় বিকশিত কর
হে মানব মোমিনগণ সব ভালো কাজে।


ক্ষমতার বলে করো না অহংকার পেশীতে
     আছে কত টুকু তোমার বল,
     যিনি অসীম ক্ষমতার মালিক
তিনি বসে  আছেন উপরে নীরব অবিচল।


রচনাকাল
২৬।১০।২০১৪
ইউ এ ই।  অনুরোধ