প্রেয়সী  আসবে  কাছে, মানস-রঙ্গিণী  হয়ে, বাসনার  অন্তরালে বাস,
দীপ জ্বেলেছে, দ্রাক্ষা-বুকে, কামনার আগুনে প্রেমিক,শিরীন সর্বনাশ।
অতৃপ্ত  যৌবন-ক্ষুধা হরষণ  তিলোত্তমা, তিলে  তিলে,
তরুণ-তরুণী চুম্বিয়াছে,অধর ঘুম ভাঙা  রাতের স্থলে।
গোপণ-চারিণী প্রিয়-প্রেয়সিনী, ক্লান্ত দীপ  জ্বালা, গ্রহান্তরে ঘেরা  ঘর,
উদ্বেলিত বুকে,উদগ্র কামনার ঝড়,লেলিহান শিখা,ভুঞ্জে রতি তরতর।
শয্যায় শায়িত  সুতাহীন  দেহে,বাসি হলো ফোটা  ফুল,
সব সীমারেখা,আজ যেন বাঁকা,অবহেলায় কানের দুল।
প্রেমিকার অহংকার,তার রূপের বাহার,চাঁদের গায়ে আজ ভারি কলঙ্ক,
সতীত্ত্বের বড়াই,বড় অসহায়,অতৃপ্ত যৌবনে নিজেকে বানিয়েছে পালঙ্ক।
আবাগের খাতিরে,নারীত্ত্ব, ভস্মিভুত প্রেমিকের কুঞ্জবনে,
মৌমাছি হয়ে মধু আহরণে,সবুজ বলাকা উড়ে তনমনে।
কামনার বীজে, অঙ্কুরিত হলো মাটির  দেহে, ভালোবাসার আদম ফসল,
প্রেমিকের তিরস্কার,নিদারুণ পুরস্কার,আকাশ ঢেকেছে,জীবনযে,নিস্পল।


রচনাকাল
১২।০৪।২০১৪
ইউ এ ই।