ক্লান্ত বিকেলের উজল সুমিষ্ট রৌদ্রছায়ায়,
রাখালিয়ার বাঁশির সুর,
গেঁয়ো চাষীর ঘরে জন্ম নিলো শিশু কন্যা
কুমুদী ফুলের সুবাস বহুদূর।
নাম দিলো তার বিজলী মেয়ে গলায়
রামধণুকের হার,
সোনা বরণ মুখটি তার রূপের ঘরে
উজ্জ্বল সারে সার।
বিজলীর মত চঞ্চল মনে ঘুরে ফিরে,
ছুটে বৃন্দাবন,
চাষীর ঘরের ধানের গোলা হয় ফসলা
মধুমাখা মন।
এক প্রভাতে এক ঘটক এলো ঘটকালিতে,
বিজলী'র বিয়ে নিয়ে,
মিষ্টি'র হাঁড়ি,ফলের ঝুড়ি টেবিলে রাখলো
পান গালে দিয়ে।
সোনা-দানা'য় ভরে দিবে নবীন তৃণের ছায়ায়
বিজলী'র কোমল গায়,
কচি-মুখের কোমল মায়া রূপের খনি'তে
বার সালের বিজলী অসহায়।
লোভে পড়ে গেঁয়ো চাষী বিয়ে স্থির করলো
গায়'লো জারীর গান,
বড় লোকের বিয়াই হবে আলোর তেলে,
বাড়বে তার মান।
ধুম ধামে বিয়ে হল সবায় উল্লাস মনে চাষীর নীড়ে
অবুঝ বিজলী'র চঞ্চল মনা,
বুঝলো না সে বিয়ে'র শাঙন মাসের তমাল তরু
বাসর ঘরে'র সে কি যন্ত্রণা।
আলতা রঙে কাপড় ভিজলো তীব্র মহাপ্রলয়ে,
বিজলী'র জীবন যেন যায় সারা,
কাঁচা লাউয়ের ডগার মত নরম দেহখানি তুপান পিষ্ট
জীবন যেন জড়োসড়া।
শরীরের কষ্টে দিন পার হলো চঞ্চল বিজলী'র পুঁতির পাতা
সাজালো দশ মাস দশ দিন,
ভাটীর সুরে মন কেঁদে যায় হেথায় হোথায় নূপুর-পরা পায়ে
প্রসুতী বিজলী'র জীবন হলো ক্ষীণ।
রচনাকাল
০৪।০৬।২০১৪
ইউ এ ই ।