আমি  বিমান বন্দরে  মনের কৌতূহলভরে
          বসিয়া রহিয়াছি কিয়দক্ষণ,
          নানান রকম দেশে'র হরেক
মানুষের ঢলে কি যেন ভাবিতেছে অবুঝ মন।


ভাষার ছড়াছড়ি সদা মানুষের দলাদলি শুধু
        যে যাঁর মত করিয়া ব্যস্ত,    
       যাইতেছে কেউ আসিতেছে
প্রিয়তমা আপনজন ছাড়িয়া হাসি কান্নায় ন্যস্ত।


সাদা কালো মানুষের ভীড়ে আকস্মত দেখিলাম
       মিটিমিটি হাসিতেছে এক পরী,
        শিহরণ  জাগিয়া  উঠিলো তনে
মধুর চাউনি দেখিয়া মন চাইলো তাহার হাত ধরি।


চঞ্চল পুলকরাশি তাহার অঙ্গে খেলিতেছে স্নিগ্ধতায়
        যেন স্বর্গ হইতে আসিলো ধেয়ে
        পুষ্পরেণুগন্ধমাখা তাহার রূপে
আমি যেন উন্মাদ হইয়া রইলাম,তাহার পানে চেয়ে ।


আমায় ইশারায় ডাকিলো চোখের ভ্রমর তুলিয়া
        হৃদয়স্পন্দনে ভ্রমরগুঞ্জনে মন,
        আমি চকিত নয়নে দেখিলাম
তাহার লালাভো চুলে আনন্দ বসন্তের অভিবাদন ।


আমি ভয়ে শঙ্খিত হইয়া বসিয়া রহিয়াছি এক মনে
         হাতে ব্যাগ জিনিষ পত্র লইয়া,
         শীতল বাতাসে চিন্তার রেখা
সারা দেহে ,দেখিলাম পরী আইসক্রিম হাতে দাঁড়াইয়া।


আমাকে হাতে ধরাইয়া দিলো,আর কহিলো মিষ্টি সুরে
         "সহসা আসিয়া ত্বরা রাঙালে মন,
          ভুলিবো না কভু জীবনে  মরনে
ভালোবাসায় ভাসিবো আমরা দু'ইজন সদা সন্ধিক্ষণ"।


আমি থ' হইয়া গেলাম তাহার কথায় মনের বৃন্দাবনে  
           আঁকিবুঁকি করিতেছে সারাক্ষণ
          না চিনিলাম না জানিলাম তাহারে
আসলে ইহা কি ভালোবাসা নাকি মতিভ্রম এক্সট্টাকশন ?


রচনাকাল
২১।০৭।২০১৪
ইউ এ ই ।