আমি তাহারে দেখিয়াছি কোন এক সন্ধ্যাক্ষণে
            জ্বালিতেছে ধুপ দীপ বাতি,
এলোকেশী চুলে গন্ধে ভরা সুবাসে অঞ্জলি করে
            মন্দির ঘরে কুতূহলে মাতি।
দেখিলাম তাহার নতুন বসন্ত পার হইয়া গেলো
            মুখে ভরা মিষ্টি ব্রণের ছাপ,
আমি ঘুরিয়া ফিরিয়া দেখিলাম তাহা'কে পলকে
            খুঁজিয়া লইলাম মনের মাপ।
নাই চঞ্চলতা তাহার মনের মাঝে দেহ গৌরবে
            সাদাসিদে বস্ত্র পরিহিতা মেয়ে,
বিধাতার দরজায় মাথা ঠেকিয়া কি'যে বলিতেছে
           দূর হইতে দেখিলাম শুধু চেয়ে।
ব্রাহ্মণ ঘরে জন্ম লইয়া খুঁজিতেছি সারাবেলা শুধু
            তাহারি মত সুন্দরী এক মুখ,
আজি মনের ঘরে প্রস্ফুটিত হইলো বুঝি এইক্ষণে
            অনুভবে পাইলাম মনে সুখ।
নুপুরের রুনু ঝুনু তালে উন্মাদ পবনে পুষ্পমঞ্জরী,
          গন্ধে পলক পড়িলো মোর চোখে,
আমি মাতাল হইয়া চাহিয়া রইলাম তাহারি পানে
           দীপ্ত প্রাণের উচ্ছ্বাস তাহার মুখে।
অধরে তাহার মন ভুলানো হাসি'র উপমা দেখিয়া
           স্বপ্ন আমার জোনাকি জ্বলে মনে,
আমি  তাহাকে  করিবো ঘরনী এই প্রত্যয় লইয়া
         স্বর্ণমদিরায় ভাবিলাম কিয়দ ক্ষণে।


            


রচনাকাল
৩০।০৭।২০১৪
ইউ এ ই ।