কালো আঁধারে'র রূপে কালো কালিমা
অমাবস্যা হবে হয়তো,গভীর অন্ধকারে ঘুটঘুটে ,
একটু আগে আমার স্বপ্নের পরী ছিলো মনকুঞ্জে ,কথা বলছিলাম
একা একা আবোল তাবোল।
বোবা প্রেমের স্বরলিপি আমি বুনতে
জানিনি হয়তো তাই সে আমায় ধরা দিচ্ছিলো না ,
কিন্তু দূর থেকে তার এক ঠোঁট হাসি মনে যেন দোলা দিয়ে যায়,
আর ওটাই আমার এক মাত্র সম্বল আমার  ভালোবাসা প্রথম প্রেম প্রাপ্তি।
আজ কালো আকাশ টা কেমন যেন ঘোমড়া মুখো লাগছে
মনে হচ্ছে যেন বিষাদতার ছায়া লেপে আছে তার গায় ,
পাড়ার কিছু দুষ্ট ছেলে কোহেলীকে প্রেম প্রস্তাব দিয়ে যন্ত্রণা  দিচ্ছিলো,
কিন্তু কোহেলী তাদের প্রত্যাখ্যান করাতে মন টা নাচিয়ে  গেলো যেন!!
অনর্গল কোহেলী কে নিয়ে ভাবতে গিয়ে অকস্মাৎ চমকে উঠি
কার যেন চেনা কণ্ঠস্বর ভেসে আসছে !!
কাতর স্বরে,
খুবই করুণ,
চেনা কন্ঠের তাল,
আমি চমকে উঠে ঘুরে দাঁড়ালাম !!কালোর মাঝে কালোর ঝাপসা দেখলাম,
কে যেন পড়ে কাতরাচ্ছে,বিবেক তাড়া করে আমায়,
ঘোর অন্ধকারে ঠিক বুঝা যাচ্ছিলো না ।
তবে কোন মানবী যন্ত্রণার স্বর যে বাজছে কষ্টের ললিত সুর
তা অনুমান করতে সময় লাগলো না ।
পলকে দৌঁড়ে গিয়ে আমি তো  হতবাক!!বিধাতার এ কেমন খেলা!!
কোহেলী পড়ে আছে জন্মদিনের আদিম পোষাক পড়ে,
নরপশুর দল তাকে ছিড়ে ছিড়ে খেয়েছে তার তেজদীপ্ত অষ্টাদশী যৌবন কে
বক্ষে শকুনের কামড় চিহ্ন!!সারা চাঁদ বদনে হিংস্র বাঘের থাবা -
রক্তাক্ত পা বেয়ে রক্তের স্রোত উজান ঢেউ খেলছে !!
আমার শরীর থেকে চাদর খানি দিয়ে তাকে ঢেকে দিলাম।
আমি তো দিশেহারা,
কোহেলী  সর্বহারা ,
তার প্রাণ যে যায় সারা,
কঠিন যন্ত্রণায় পাগলপাড়া  ।
উৎসারিত ঝর্ণাধারায় কান্নার স্রোত বইতে লাগলো ।
আমি উদগ্র চিত্তে  চিতকার দিয়ে তাকে বক্ষে তুলে
রওনা দিলাম হাসপাতালের দিকে ।
কিন্তু কে জানতো যে ফুল ফোটবার আগে ঝরে পড়বে,
নিথর দেহ প্রেমিকের বুকে !!
বিবেক যেন স্তব্ধ বোবা সংজ্ঞাহীন !!
এ বুঝি প্রেমের সমাধি দিলো কোহেলী প্রেমিকের বক্ষে!!


রচনাকাল
১৬।০৮।২০১৪
ইউ এ ই ।