অদ্ভুত আঁধার ধরেছে ঘিরে চাঁন মিয়া'র হাটে
পৃথিবীটা যেন  বড়ই  বিষাদ  কাঙ্খিত বাটে।
চাঁন মিয়া রিক্সা চালায় ঘামে ঝর্ণাধারা স্রোত,
ঘরের বধু শয্যাশায়ী, চিকিত্সা করবার ব্রত।


হৃদয় জুড়ে প্রেমের শিকল ব্যধি করেছে লীন,
চাঁন মিয়ার দুই বিঘা জমি বেচে দিলেন ক্ষীণ।
নাজুক মনে রিক্সার প্যাডেল ঘুরে ঝরে কতজল,
এই দিক ওদিক বেয়ে বেড়ায় স্ত্রী যে অস্তচল।


একদিন যাত্রী সেজে রিক্সায়,অচেনা এক পথিক,
কথার ফাঁদে কথা ফেলে সে বন্ধু যেন জ্যোতিক।
অনেক টাকার লোভ দেখালো হবে রক্ত বিনিময়
এক ব্যাগ শুধু তুলে নিবে লোকটি সেকি অনুনয়।


চাঁন মিয়া সরল মনে খুশির রনে ভাবলো কিছুক্ষণ,
তার প্রিয়তমা স্ত্রী কে সারিয়ে নিবে, সুখে অনুরণ।
কথা মাপেক চাঁন মিয়া,ছুটলো যান্ত্রিক শহর পানে,
মনে অনেক স্বপ্নে ঘেরা সে তো অন্তর্যামী জানেন ।


বড় হাসপাতালের একটি কক্ষে নেওয়া হলো তারে,
অচেনা সুঁই গেঁথে দিলো অচেতন জীবন পারাবারে।
চাঁন মিয়ার জ্ঞান ফিরলো এক দিন এক রাত্রি পর,
হঠাত সে লক্ষ্য করলো অঙ্গদে পেট কাটার আঁচর।


অবাক হয়ে সে প্রশ্ন ছুড়লো বিস্মিত সেবিকার কানে,
কিছু  টাকা  দিয়ে উত্তর দিলো, বাঁধ ভাঙ্গলো বানে।
একটি  বৃক্ক চুরি হলো অজান্তে বিশ্বাসের ঘরে শিক,
মনের কোণে তীব্র ব্যাথা ক্ষোভিত মনে ধিক্কার ধিক!!


হলো না তার স্বপ্ন পুরণ দুরাশার মৃত্যু  প্রস্তুত দ্বারে,
আর কত  চলবে এমন  জঘন্যতা হীনমণ্যতার সারে?
চাঁন মিয়ারা পড়বে ফাঁদে  অভাবের ঝড়ের মোহনায়,
ভেসে যাবে সকল স্বপ্নগুলো ভাঙ্গা স্রোতের ঐ যমুনায় ।


রচনাকাল
২০।০৬।২০১৪
ইউ এ ই ।


বিঃদ্রঃ-কবিতাটি অনেক বড় বলে দয়া করে কেউ আঁতকে উঠবেন না।অনুরোধ থাকলো আমার সকল শ্রদ্ধাভাজন কবিবন্ধু এবং সম্মানীত পাঠক বন্ধুদের প্রতি আপনারা কবিতাটি পুরো পড়ে তারপর ঘঠন মূলক মন্তব্যে আসার জন্য।এটি একটি আমাদের সমাজের বাস্তব উপাখ্যান অবলম্বনে রচিত।এর থেকে পরিত্রাণ আমরা কি করে পেতে পারি ? ভালো থাকুন সবায় ধন্যবাদ।