.  যতই কর বাড়ি গাড়ি ও মানব,
সাড়ে তিন হাত জায়গা কিনে রেখো
ফুর্তিভরে করে কাটাই দিস না বেলা
  সুখের জনম,ঝড়ের গতি দেখো।  


  আসার সময় বিধি মন্ত্র দিলেন
নাঙ্গা দেহে তুই কেঁদে কেঁদে অস্থির,
সবায়  হেসেছে উলুর ধ্বনি আযানে
  অবুঝ মনে ভেবেছিস যে বধির।


  খ্যাপা মেঘের মত উড়তে শিখে
ভুলে গেলি তুই সেই মন্ত্রমুগ্ধের কথা
তোর আগুন তাপে জগৎ কাঁপতে শুরু
   বুক-ভরা-মধু বঙ্গের সরলতা।


   গৃহহারা,সন্তানহারা করলি কত
ফলফুল শাক-পাতা,কত জননীর মুখ,
বিলাপ কেদেঁছে পাঁচরঙা পাতা অঞ্চলে
  চৈত্রের দাহে পোড়ালি মায়ের বুক।


  ক্ষুধামনা সুধারাশিতে কেড়ে নিলি
কত বালিকার সতী দেহের নিখুঁত সম্ভ্রম,
আলো জ্বেলেছিস আবেগ মনে,আঁধারে
  কখনো ভাবিসনি ফুল্লমুখে শুভম।


  পাপের সাম্রাজ্য সব ভোগে গেলো
মোহগর্তে পড়ে কেঁদে যাচ্ছিস কেন মন,
ভাবার সময় ভাবিসনি কেন মানব জনম
    সুখে ভরা প্রতিটি শ্বাসের ক্ষণ ।


   ও মানব পূজা কর নামাজ পড়
যেতে হবে সাড়ে তিন হাত মাটির ঘরে,
খাঁটি মুলধনে কিনে রাখো শরীর মাপে
  ভেবো না ভবে থাকবে চিরতরে।


রচনাকাল
১৮।১১।২০১৪
ইউ এ ই ।