ঠাম্মা  জোর কন্ঠে আওয়াজ তুলে ছেলে'কে
চিৎকার  করে উঠলেন, ওহে সনাতন,ওহে সনাতন,
কোথায় গেলি,রে এসে দ্যাখ দ্যাখ তোর পুকুরে
আজ শাপলা ফুটেছে'রে,যেন রঙিন পুতুল!!  

আহ!! কী সৌন্দর্য, যেন শাপলা কলি,
তার রূপ যেন নয়, যেন শিল্পীর রঙ তুলি।
ওরে তোরা বাজনা বাজা,
ওরে তোরা  ঘর সাজা,
যেন আজ  প্রভাত আলোয়,চাঁদ উঠেছে।  


কী নামে ডাকবে তাকে?
ঠাম্মা ঠিক করলেন,এক ফাঁকে,
বন্দনা বলে ডাকবি তাকে, জীবন বাঁকে।  
আরতি মালাকরের মধুর হাসি,  
সনাতন বাবুর উচ্ছ্বাস, রাশি রাশি,  
বললেন,মাগো এই নামেই ডাকবো তাকে।


জোয়ারে ঐ সাগরে ঢেউ খেলে,উচ্ছ্বাসে  
গাঙের কলকলানি মধুর সুর তোলে,নিঃশ্বাসে  
রঙিন পুতুল  আজ যৌবনের ঘরে জাগতিক, বিশ্বাসে।
  এক দিন দূপুরের সেই বেলা,  
         বিধির বন্ধনের  এই খেলা,  
         সুব্রত  রাজপুত্র এলো  ঘরে,  
          কথা হলো সবার তরে।
সানাই বাজছে সুরে, বন্ধনের বাহুডোরে  
সুখ সাগরে  ভরে যাক, সারা জীবন ধরে।  
        আজ সেই দিনের ক্ষণ ,
         পনের অগ্রাহায়ণ
  আমার মৌলী বোনের জন্মদিন,
  জীবন সংসার হউক রঙ্গিন।  


রচনাকাল
০১।১॥২০১৫
ইউ এ ই