চাঁদের আলো, কালো আকাশে
মিঠে আলো , আকাশে ভাসে
গাঢ় অন্ধকার, ঐ বন বাঁধর
ঝোপঝাড় চারিধার
এমনি রাতে, চলেছে তাতে
সে যে একেলা, এই রাত্রি বেলা,
গাছেরা তো ঘুম, সে যে নির্ঘুম,
সামনে দোতালা বাড়ি, লোকহীন গাড়ি
পড়ে আছে বনে, কেউ নেই সনে
তাই, মনে লাগে ভয়,
কি জানি কি হয়!!
আমি নই ধনঞ্জয়।
অবাক তাকিয়ে রই।


ঝুপ ঝুপ হাঁটে,  
আঁধারের  কালো মাঠে
নূপুরের ধ্বনি, কান পেতে শুনি,
কাঁকন জোড়া বাজে,
গভীর বন মাঝে,
বেতগাছ ঝোপঝাড়
দেখি পুকুরের পাড়,  
জল নড়ে খল-খল
কারা যেন হাঁটে দলে দল।
কেঁপে ওঠে বুক,  
বুঝি না সুখ দুঃখ
তবু মনে ভয় !
আমি নই ধনঞ্জয়।
অবাক তাকিয়ে রই।


ধপাস শব্দ!
আমি নিস্তব্দ!  
কে যেন হায়,  
ফিস ফিস কথা কয়,
আমি কান পেতে শুনি,  
পালানোর পথ গুনি,
চারিদিকে কালো পথ
দিশেহারা মনোরথ,
আঁকাবাঁকা পথঘাট
সুবিশাল বন-মাঠ,
কে যেন উড়ে গেলো,
শাদা পরী হেসে দিলো
সাংঘাতিক ভয়!  
আশ্চর্য! কি জানি কি হয় !
আমি নই ধনঞ্জয়।
অবাক তাকিয়ে রই।


ভব সংসার
কাঁপছে আষাঢ়
ঝরছে জল, বরষার ঢল
নির্জন বনে, একা রণে
আহা প্রাণ কাঁপে
কাঁদি ধাপে ধাপে
নিয়তির খেলা,
বৃষ্টির মেলা  
আকাশে গর্জন
বুঝি হারালাম স্বজন
অন্তিম দিন,
শরীর হল ক্ষীণ
দেহ যেন লীন।
হঠাৎ ভাবিলাম মনে,
কেনো ভয় সনে?
নির্জনে !!
ঘুরে দাঁড়ালো মন,  
সাহসের আলিঙ্গন।  
প্রভাত  হলো,
চারিদিকে আলো
ভয়'কে জয়
ভয়ের হলো ক্ষয়,
যদি থাকে মনোবল,
আসলেই সেই সবল।


রচনাকাল
০১।০৫।২০১৭
ইউ এ ই