কাল নহরের পাড়
বুনোঘাসের গালিচা বিছানো আলপথে
সহস্র বছর হেঁটে এইমাত্র আমি সভ্যনগরের সৌখিন কার্পেটে পা রাখলাম
এই যে সেতুটা দেখছো এখানে বেয়েছি কলার ভেলা
এই যে দেখছো বহুতল ইট-কাঁচ ভবনের মিছিল মেলা
এরা এখানে ছিলো না
এখানে ছিলো ...
না ফুরোনো ফসলমাঠ
তার বুকের সড়ক ছিঁড়ে দিয়েছিলো কাইদ্যাহারা বিল স্রোতেরা
যেখানে তোমার পার্টি অফিস
পদ্মপুকুর ছিলো সেটা
শাপলা পাতার ফাঁকে ফাঁকে শ্যাওলা ঝোপে দূর্গ গড়েছিলো খলসে মাছের ঝাঁক
এখানে ছিলো না মাছের বাজার
তবে মাছেরা ছিলো
কারণ নদীটাকে শ্বাসরোধ করে শপিং মলেরা গজিয়ে উঠেছে পলির বুকে লোহা পুুঁতে
মানুষের জন্য যে মানুষটা নিবেদিত প্রাণে ফুল ফোটাতো
সেই মানুষই যন্ত্র হয়ে মানুষ নিধনে হুল ফুটিয়ে হাসে
তলোয়ার ফেলে কলম ধরে সভ্যতার গোছানো সড়কে পা রেখেছিলো মানুষগুলো
এরাই আবার কলম ফেলে সভ্যতাকে তুড়ি মেরে বুলেট নিয়ে পশুগুহায় ঢোকে
বের হয়ে আর মানুষ থাকে না
জম্বি হয়ে মানুষ কামড়িয়ে জম্বি বাড়ায়
কাল নহরের পাড়ে
সময় কেবল বাড়ে
সহস্র বছর হেঁটে এইমাত্র আমি
সভ্যনগরে সৌখিন কার্পেটে পা রাখলাম
একটা মানুষ খু্ঁজে ফিরি
ভেতর বাহির মানুষ
যে মানুষটা জম্বি কামড়িয়ে মানুষ বাড়াবে
ভেতর বাহির মানুষ