আর থাকবে না আবদার ;
তোমার সম্রাজ্ঞী দরবারের অগ্নি উৎসবে
পুড়িয়ে দেবো আমার সকল আবদারের পান্ডুলিপি,
দলিল-দস্তাবেজ, কবিতার অকথ্য কাগুজে জঞ্জাল;


আর আবদার করবো না;
এবার ঝরাবো রক্ত, হৃদয় হতে ঝরবে প্রমত্ত,
সে রক্ত ধারার মহা প্লাবনে
ডুবিয়ে দেবো সকল সুখের আকাঙ্খা,
এক জোড়াও রাখবো না, ওঠাবো না
নূহের মতো কোনো নৌকায়;


লক লক করে ওঠা কোনো আবদারের
রাক্ষুসে লতার অরণ্য দেখলেই,
আদিম জংলীদের মতো রামদার
মহা আক্রোশের কোপের পর কোপে
তৈরী করে নেবো শুধু অনুরাগহীন নির্মম পথ;


মেঘের বুকে আবদারের জল দেখলেই,
শুকিয়ে দেবো শত সূর্যের প্রখর তেজে
রাখবো না আবদারের এক বিন্দু শব্দকণা ;


সামান্য কবি, কাঙাল অথবা কেরাণী
যাদের মুখ প্রত্যাখ্যান আর অপমানে
জন্মের মহা সে আবির্ভাবের পরে একদিন
হয়ে যায় মৃত নদীর মতো দাগে পরিপূর্ণ;
এসব দৈন্য পশুদের আবদার শোভা পায় না;

এই বস্তুবাদী জগতের মহা সমাগমে
তাদের আবদারই শিরোধার্য,
যাদের মুখ দেখে মনে হয় রাজপূত্র,
বিজয়ী সম্রাটের মতন উজ্জ্বল প্রভা
এবং যারা জানে জীবনের কচকচে অর্থ সূত্র
নির্মাণ করে অনায়াসে একের পর এক বিলাসের মিনার !
আর আবদার মেনে নেয়ার জন্য প্রয়োজন শুধু
যাদের আঙুলের সামান্য তুড়ি !


ভেবো না, আজ থেকে এই জিহবা হতে
আবদারের চাতক পাখিরা উড়লেই
ওদের লেজ ধরে দেবো তুমুল আছাড়,
বুকে বসিয়ে দেবো সীমারের মতো দয়াহীন ছুরি।


(২৮.০৬.২০২২)