অহংকার আমার কবিত্বের,
কোনো কৃতদাসের নয়
             কোনো কাপুরুষের নয়,
                             কোনো ক্রোড়পতির নয়;


অহংকার আমার কবিত্বের, কোনো কুচক্রী নেতার নয়
কোনো কাক, কুমির, শৃগালের নয়;
অহংকার আমার কবিত্বের,
কবুতরের মতো শান্তির প্রতীক বিমুক্ত বিমুগ্ধ বাঙময়;


আমার কবি অহংকার কাঠুরিয়ার মতন, সাপ আর বাঘের অরণ্যে
জীবন বাজি রেখে যে কাঠ কাটে;
আমার কবি অহংকার আরব্য রজনী,
শেহেরজাদীর লাস্য শায়েরী তার আঙুর পেলব ঠোঁটে;


আমার কবি অহংকার সেই ঐশ্বর্যময় রমণী,
গভীর প্রণয়ের চিরায়ত আস্বাদে
যার সাথে একজীবন অনায়াসে কেটে যাবে;

আমার কবি অহংকার ঐ উচুতে চলা মেঘের মতো
নীল অহংকারী আকাশের বুক ঘেঁষে;
আমার কবি অহংকার ঐ রাজহংস, খাড়া গ্রীবায় রাজার মতো
গ্রামীণ পুকুরে যে ভাসে;


আমার কবি অহংকার অনন্য গাম্ভীর্যের আফ্রিকার সিংহ
রাজকীয় সম্মোহন যার বদন ও কেশরে;
আমার কবি অহংকার ঐ নীল সমুদ্ররাশি, অতল তাদের অহংকারে
যারা এ পৃথিবীর স্থল আগলে রাখে;
আমার কবি অহংকার ছুটে যায় দ্বৈরথে দেবতাদের দিকে বিদ্যুত রথে;
আমার কবি অহংকার ঐ মৌন পাহাড়, যে স্বর্গের দিকে শুধু ওঠে;
আমার কবি অহংকার ঐ মাধবীলতা
                                অযত্নেও যে সুগন্ধী হয়ে বেড়ে ওঠে;
আমার কবি অহংকার ঐ সন্ধ্যামালতী, একই গাত্রে নানা বর্ণে ফোটে;


আমার কবি অহংকার
শস্যক্ষেত আর বালিকা, যারা বাংলার সবুজের মতো একসাথে হাসে;
আমার কবি অহংকার আজকের শহরের মেয়ে,
যে নিজের অধিকার কেড়ে নিতে জানে;
আমার কবি অহংকার ঐ যুবকের মতো,
যে গান করে আধুনিক পৃথিবীতে মানবতাবাদী সুরে;
আমার কবি অহংকার ঐ যুবতীর মতো,
যে বাংলার শ্যামল জননী হয়ে ওঠে;


আমার কবি অহংকার ন্যায়পরায়ণ সম্রাটের মতো,
                              যার প্রশংসা ঝরে মহান ঈশ্বরেরও ঠোঁটে;


এমন শুদ্ধ অহংকার থাকে প্রকৃত কবিদের,
                           তবে তা অজানা থাকে যত অকবি নচ্ছাড়ের ।


(২৮.০৪.২০২২)