আমার নিঃসঙ্গতাকে
কখনো আকাশ ছুঁয়ে দেখেনি,
আমার নিঃসঙ্গতাকে ছুঁয়ে দেখেনি কোনো নদী;
আমার নিঃসঙ্গতাকে নক্ষত্ররা ছুঁয়ে দেখেনি,
ছুঁয়ে দেখলো না কখনো কোনো নারী;


পেরিয়ে গেলো নিঃসঙ্গতা আমার
কত আকাশ, নক্ষত্র ও নদী;
পেরিয়ে গেলো নিঃসঙ্গতা আমার
কত নারীর মৌন হৃদয়ের ভূমি;


কখনো বলেনি আকাশ
আয় তোকে শুদ্ধ নীল দিয়ে মুছে দিই !
কখনো বলেনি নদী
তোর নিঃসঙ্গতাকে স্বচ্ছ জল দিয়ে ধুয়ে দিই;
কখনো বলেনি নক্ষত্ররা
এসো তোমার নিঃসঙ্গতা ঝলমলে করে তুলি;
কখনো বলেনি কোনো নারী
এসো, আমার নিবিড় সঙ্গ-স্পর্শ দিয়ে
তোমার নিঃসঙ্গতাকে বিলীন করে দিই;


পেরোলো প্রায় এক জীবন,
তবু যেন
অজানা কোনো পাপের অভিশাপ কাটেনি;
একা নিঃসঙ্গ এ প্রায়শ্চিত্ত
আজো যেন ক্ষমাযোগ্য হয়ে ওঠেনি;


আমার নিঃসঙ্গতা দেখে
নিঃসঙ্গ সুরে ডেকে ওঠেনি
কোনো ডাহুক অথবা কোকিল;
আমার নিঃসঙ্গতা দেখে
বসন্ত ফোটায়নি রক্ত গোলাপ
নীলপদ্ম ফোটায়নি
কোনো দূর প্রান্তরের নিরিবিলি বিল;


আজো যদি বলি
তবে আঙুল তুলে দেখায় পৃথিবীর নারী,
ঐ দেখো ঐ জায়গাগুলো
তোমার মতো নিঃসঙ্গদের জন্য;
ঘুরে বেড়াবে শুধু একা,
তুমি ও তোমার নিঃসঙ্গতা;


তারপর দেখা হবে একদিন
এক আঁধারের সাথে
মিশে যাবে তুমি অনায়াসে,
তখন আর বলতে হবে না এমন করে,
এই পৃথিবীর
আকাশ নদী নক্ষত্র ও নারীর কাছে,
তোমার নিঃসঙ্গতাকে যেন একটিবার
করুণায় তারা স্পর্শ করে  ।


(১৮.০৭.২০২২)