ছুটির দিনেও,
সারাদিন খাটলাম দাসের মতো,
আরেকবার আরেকটি দিন
সমগ্র অস্তিত্বের একটু মৃত্যু হলো,
আমাদের এই লজ্জাহীন কৃতদাসদের শহরে;


তারপর হঠাৎ বৃষ্টি; নিয়নের আলো,
গাড়ীর বাতি, শোরুম থেকে ঝর্ণার মতো
তীব্র আলোতে ঝকমক করে উঠলো রাজপথ;
সৃষ্টি হলো মন মুগ্ধ করে দেয়া
চারিদিক বর্ণালি আলোরচ্ছটার দুর্দান্ত সন্ধ্যা;
তারপরও বৃষ্টিস্নাত সে সন্ধ্যার রূপময়তার মাঝে
নিবিড় ছড়িয়ে আছে ভীষণ মধুর বিষন্ণতা;  


বুকের মধ্যে একটি কবুতর যেন ঝাপটালো তার পাখা
কোনো বন্ধুর খোঁজে........
বললাম, আনন্দ, সরোবরে চটপটি খাবে?
আমার আনন্দময়ী যা বললো,
                  তোমাদের তা আর শোনাবো না;


তবে এরপর হয়তো শুনে থাকতে পারো,
এই অপরূপ শহর-সন্ধ্যার বিষন্ণতাটির সাথে
দারুন মানানসই একটি অভিমান নিয়ে কি যেন বলছে
কোনো এক জোর-জবর কবি
                     কবিতার কোনো দেবীর কাছে,
হয়তো চাইছে যোগ্য শব্দ বাক্য আর অনুমতি
আরো একটি দুঃখের কবিতা লিখবে বলে।


(১৭.০৬.২০২২)