প্রত্যাখানের এ নিঁখুত দুঃখে দৃশ্যমান আজ,
আমার অস্তিত্বের বাম রক্তপিন্ড প্রান্তরে
নির্বাণ আকাঙ্খার এক অপরূপ দরজা।


আমি দেখি সে দরজাকে
আর আমার নিঁখুত দুঃখগুলি ম্লান হেসে ওঠে।


কিন্তু মাঝখানে দাঁড়িয়ে সকলের মতোই
পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মানুষটি মা !
জন্মদানের দোষ তার কখনো নয় নাহলে এই দুঃখ বিবরটি ছেড়ে
চলে যাবার কোনো দ্বিধাই থাকতো না,
পৃথিবীর মৃত্তিকার ওপর স্বর্গ সুকোমল আলোক
এই নারীদেরকে
চলে গিয়ে অবোধ্য এক শোকে স্তব্ধ আলোহীন করা যায় না,
না হলে এ পাপ আমাকে থামাতে পারতো না।


প্রেমহীন একা থাকার তোমার ঐ অহংকার
আর সে অহংকারে “তুমি আলাদা” “তুমি স্বতন্ত্র”
এই আত্মমুগ্ধতার চিৎকার !
সস্তা সিগারেটের মতো পুড়িয়ে বা পায়ে প্রচন্ড পিষে
একটি উদাস সন্ধ্যার তুলনাহীন বিষন্নতার রূপগুলো ছুঁয়ে ছুঁয়ে
মুক্তি-সুখের ঐ দরজাটি দিয়ে চলে যাবার দুর্দমনীয় ইচ্ছে
এক মুহূর্ত আমাকে আটকে রাখতে পারতো না।


তাহলে বেঁচে থাকো গ্রন্থ ঈশ্বরী, বাড়ুক তোমার খ্যাতি,
আর প্রত্যাখানের অহংকারটি চলুক
আত্মরতির মতো, কখনো তার সুখ ভুলেও ছেড়ো না।


(২৫.০৭.২০২২)