ভেবেছিলাম জীবনের কোনো মুহূর্তে,
উড়ে দেখবো কোনোদিন আকাশের গহীনের নীল,
এমনকি যদি পারি তারো ওপরের কোনো দুর্বোধ্য সাম্রাজ্য;
ভেবেছিলাম দেবো এক অতলান্ত ডুব
নীল সমুদ্রের গহীনেও,
দেখে নেবো আমাদের আরো একপ্রকার অনাদি জন্ম রহস্য;
আর ভেবেছিলাম
প্রথম কবিতার অক্ষরগুলো বসাতে বসাতে...
কবিতা লিখবো সুনীল-শামসুর জীবনানন্দের মতো কবিদের
রেখে যাওয়া ঐশ্বর্যময় কবিতার জগতে;

অথচ আজ নিজেকে খুঁজে পাই
ধর্মান্ধ ঋত্বিক দলের কবিতার সাম্রাজ্যে !
কবি ও কবিতার এ দেশকে যারা ভরাবে অদ্ভুত সে আঁধারে
যেখানে একদিন
শৈল্পিক সমৃদ্ধ কবিতারা ঘোষিত হবে বে-আইনী
ভেঙে ফেলা হবে ধর্ম-হিংস্র বারূদে ধ্রুপদী সব শিল্পকলা;

এর সাথে বিস্ময়ে হত হয়ে আরো দেখি
নাগের মতো উত্থিত কিছু অপরিচিত আঁতেল কবি ও সমালোচক ;
যাদের নেই কোনো সর্বজনীন পরিচিতি অথচ আছে ঔদ্ধত্যপূর্ণ বাক্যবান !
ঐশ্বর্যময় কবিরা যারা আমাদের অতুলনীয় খ্যাতিমান,
নখাগ্রের যোগ্যও না হয়েও তাদের,
তাদেরকেই করছে একে একে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য অপমান
এবং স্পর্ধিত ঋষভের মতো অজ্ঞ শিং-এ গুঁতিয়ে প্রত্যাখ্যান !
আর নিজের স্বঘোষিত উচ্চবর্গের অক্ষম কবিত্বের মসনদ থেকে
সাজাচ্ছে বাকী সব কবিদের বিবিধ নিম্ন-মধ্যবিত্ত বর্গে!


ক্যাকটাস সজারু কাঁটার মতন কবি-সমালোচক আঁতেল, মনে রেখো,
আমাদের ঐশ্বর্যময় খ্যাতিমান কবিরা যে বর্গেই জন্মাক না কেনো,
তাদের পায়ের কাছে মাথা নত করেছে জীবনের সমস্ত অনুভব,
বিধাতার দূতের মতো ধৃত-বিধৃত হয়েছে তাদের কলমে
সমস্ত স্তরের মানুষ, সম্পূর্ণ পৃথিবী;
  
খ্যাতিমান কবিদের ঐশ্বর্যময় জগতের এক বিমর্ষ বালকের মতো আমি
এইসব ব্রাত্য কবি ও সমালোচকের গুন্ডামি দেখি ।


(২২.০২.২০২২)