আমি ভেঙে ফেলবো এই সূর্য কারাগার ।
চন্দ্রভূকের মতন
যা আনে আমাদের অনুরাগের ওপর অমাবস্যা ।
পৌরাণিক কাহিনীর মতন
প্রহরীদের দেবো চরম অমোচনীয় অভিশাপ ।
এদের নিষেধাজ্ঞার কুৎসিত অবয়বগুলোকে
ভীষণ ধমকে দিয়ে
উঠে গিয়ে দাঁড়াবো তোমার শৈল্পিক সড়কে।
তখন, তুমি আমাকে না ভালোবাসার
কোন্ কোন্ সমৃদ্ধ চেতনার অনন্য দর্শনগুলো শোনাবে ?


আমি না হতে পারি অনন্য,
না হতে পারি
সাহিত্যে-পাণ্ডিত্যে বিরাট রবি ঋষি;
না আঁকতে পারি
তোমার পদতলে শৈল্পিক জীবনের আল্পনা।
কিন্তু আমার অভিমান !
যে কোনো ধ্রুপদী শিল্পকলা থেকে উন্নত, সূক্ষ্ম ও সুচারু
জেনে রেখো তা ;
আমি কখনোই দাঁড়াবো না
তোমার বন্ধু সাম্রাজ্যের সাথে এক কাতারে;
কখনোই হারাবো না তোমার প্রতি আমার প্রেমিক অস্তিত্ব ।
অগ্নিদাহে আনবো না সে অভিজাত অনুরাগের মহাপ্রয়াণ।
আমি প্রসন্ন অহংকারে শুনতে চাই,
তোমার বন্ধু সাম্রাজ্যে আশ্চর্য হওয়ার গুঞ্জন,
"তাহলে এই সেই ব্যক্তি !
যার শৈল্পিক অভিমান জয় করে নিলো অবশেষে
আমাদের বিদুষী অনন্যার শৈল্পিক মন!"


তোলো তুমি যত ইচ্ছে চৈনিক প্রাচীর,
                    সপ্ত-আশ্চর্যের মতো নির্মাণ করো
দুর্দান্ত সব গৌরবময় বাধা ।
পুড়ে যাক এই অঙ্গ বিচ্ছেদের অনন্ত অনলে,
তবু তুমিই থাকবে
এই দুর্বার কৃষ্ণের অনাদি রাধা।


(১৫.০৭.২০২২)