এভাবেই গড়ে ওঠে অন্ধদের অশ্লীল রাজ্য

রাজত্ব ও তার অমানবিক শাসন ব্যবস্থার ঘন আঁধার;
যার স্থপতি ধর্মান্ধ হারামজাদারা !
যারা একদিন এই বাংলার
শৈল্পিক ধ্রুপদী ঐশ্বর্যময় কবিতার সাম্রাজ্যকে
করবে নিশ্চিত ছারখার ;


আজ এরা বাংলার কবিতার সাম্রাজ্যে
হামাগুড়ি দেয় মরুভূমির বিষাক্ত শীতল সাপের মতো;
নেই কোনো সুচারু শিল্পিত সুক্ষ্ণ কাব্য জ্ঞান-বোধ,
নেই শব্দদের বিভিন্ন অর্থের রোমাঞ্চকর উৎস-জ্ঞান
ও প্রয়োগের দক্ষতা,
আছে শুধু অন্ধ উন্মত্ত জেহাদ,
বাংলা বা বিশ্বের কবিতার অনবদ্য শব্দের মহিমাকে
ধর্ম আঘাতের অজুহাতে পাথর ছুঁড়ে মারার ধর্মোন্মত্ত আক্রোশ!  
আছে শুধু
অচল মুখস্থ শিক্ষার একমাত্রিক শব্দকোষের মৌলবাদী চিৎকার !


অথচ আশ্চর্য, এরা,
এসব ধর্মান্ধ ছদ্মবেশী সর্পিল অকবিরা
আবার প্রেমের কবিতাও লেখে ও পড়ে !
(যেমন দবির বিল্লাহ এবং চা মুলুকের ওয়াহাবী ঐ ইতর)
এবং তখন ইচ্ছে করেই পড়ে না মনে তাদের
বিধাতার গ্রন্থের বিধিনিষেধ,
তাদের দ্বৈতধারার সাংঘর্ষিক এ বে-আদব!
যেহেতু এটা বাংলাকে তালেবান সাম্রাজ্য বানাবার
ষড়যন্ত্রের লাদেনীয় নীল নকশা ।


আজ তাই দেখি
বাঙালি রমণীদের মাথায় গম্বুজ ধারণের গাধামী ।


(৩১.০৩.২০২২)