গল্পের শেষ হলো।


হয়তো যারা অধীর দেখছিল
হতে পারে পাখিরা, হতে পারে
অবয়বহীন আলোর মতো যারা
বা অজানা অন্য জগতের কেউ
অথবা চারপাশের মানুষেরাই
দেখছিল গোপনে
কী হয় কী হয় এই শিহরণে
তরী কি দেবে ডুবিয়ে
হঠাৎই ছুটে আসা কোনো বিচ্ছেদের ঢেউ।


সত্যি এলো আর তাই যেন শোনা গেল
তাদের কারো হতাশার ধ্বনি
গল্পটির এই
অভিমান অনুরাগ মথিত প্রবল বাতাসে ।


এরপরও যত গল্প আছে জমে, চিন্তা নেই,
কেটে যাবে বেদনার্ত দারুণ
এই নিরালা জীবন
প্রতিদিন একটি করে কবিতা লিখে লিখে।


বাহ! বেশ বলেছি তো
যোগ্য কবি তবে নির্বোধের মতো,
জমে থাকা গল্প যেন সঞ্চিত টাকা
পেটে খাদ্য ছাড়াই রাখবে বাঁচিয়ে
গল্প থেকে অল্প অল্প খরচ করে
খাদ্যের মত এ সত্তা থেকে
সংগ্রহ করে কবিতা ।


যাই হোক,
(আপনারাও সাক্ষী থাকুন প্রিয় পাঠক )
শপথে রুদ্ধ করে দেয়া দরজা
কখনো যেন ভুল করেও খুলো না এবার ।
তবে দাপ্তরিক চিঠির মতো
উল্লেখ্য করাও দরকার,
খুলেছিলে তো রুদ্ধ দ্বার এর আগেও
বেশ কয়েকবার।
তাই না হে আমার,
শৈল্পিক স্বাধীন জীবনের ঐশ্বর্যময়ী রমণী ?


দাঁড়ান, দাঁড়ান পাঠক,
বলেছি যে ভুল তবে শিরোনামে
আর ঐ প্রথম বাক্যেই......
কবিতার মূল ভাবটির নিষ্পত্তি
মজবুত থাকলো না সেটির ভিত্তি
থেকে গেলো সম্ভাবনা রেশ
উপনীত হলো রবি ঠাকুরের সংজ্ঞার মতো,
"গল্প, শেষ হইয়াও হইলো না শেষ "।


(২৪.০৩.২০২৩)