অবনী'র কবিটি বলেছিলেন, কবিরা কাঙাল হয়;
আগুন লাগাতে পারে সে ছাপাখানায়,
আবার জাগাতে পারে কোনো রমণীর বুকে
প্রেমের মতো দুঃসহ দুরু দুরু ভয়;


বলতে ভুলে গেলেন,
কবিরা কাঙালের মতন অনধিকারেও কুড়িয়ে নেয়
যে কোনো রমণীর রমণীয় ভাব-অনুভব,
আর কবিতা লিখে হয়ে উঠতে চায়
সতত শৈল্পিক প্রেমিক, আত্মতৃপ্তিতে উড্ডীন;


সমাজের আঙিনায় তখন কারো জীবন হয়ে ওঠে
অস্বস্তিকর হয়তো খুব যন্ত্রণার;
অথচ কী চমৎকার উদাসীন আর ক্রুর
কবি কাঙালের আত্মমগ্ন সকল সময়;
আর যদি কারো মুখে ওড়না-আঁচলে লুকোনো
আরক্তিম মধুরতা দেখে,
তখন কাঙাল সে কবি দিশাহীন আত্মহারা হয়;
যেন আর কাঙাল নয়
বরঞ্চ অনন্ত সুখ-তৃপ্তিতে সে দুর্ধর্ষ এক অভিযাত্রী এই পৃথিবীর।


(৩০.০৩.২০২২)